হাজির না হলে বেনজীরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দুদক

ঢাকা নিউজঃ
দুদক বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা তার বিপুল সম্পদের ৮৩ টি দলিল জব্দের আদেশ দিয়েছে এবং ৩৩ টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করেছে। এছাড়াও, তার স্ত্রী ও সন্তানদের ১১৯ টি স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, ঢাকা ও পূর্বাচলে অবস্থিত ৪ টি আলিশান ফ্ল্যাট এবং ২৩ টি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে দুদকের একটি বিশেষ টিম। এই টিম বেনজীরের সম্পদের উৎস, তার অর্থায়নের মাধ্যম এবং তার বিরুদ্ধে আনা অন্যান্য অভিযোগ তদন্ত করছে।
দুদক বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে। মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে বেনজীরকে জেল, জরিমানা, অথবা উভয়েরই দণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে।
দুদক আইন, ১৯৯৫ অনুযায়ী, যদি বেনজীর নির্ধারিত সময়ে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির না হন, তাহলে তার বিরুদ্ধে দুদক নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে:
জারিপ্তি জারি করা: দুদক বেনজীরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার ওয়ারেন্ট জারি করতে পারে। সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা: দুদক বেনজীরের অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে। মামলা দায়ের করা: দুদক বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থপচয়, অথবা অন্যান্য অপরাধের জন্য মামলা দায়ের করতে পারে। বেদনাদণ্ড ও জরিমানা: দুদক বেনজীরকে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে জরিমানা ও বেদনাদণ্ডে দণ্ডিত করতে পারে।
তবে, এটা উল্লেখ্য যে, বেনজীরের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র অভিযোগ আছে, তার বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত হয়নি।
দুদকের তদন্ত চলমান রয়েছে এবং তারা তদন্তের মাধ্যমে বেনজীরের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করবে।
তদন্ত শেষে দুদক যদি মনে করে যে বেনজীরের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে, তাহলে তারা তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫