|
প্রিন্টের সময়কালঃ ০৭ এপ্রিল ২০২৫ ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ০১ এপ্রিল ২০২৩ ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ

১০৮৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন আল-আজহারের


১০৮৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন আল-আজহারের


মিসরের বিশ্বখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১০৮৩ বছর উদযাপিত হয়েছে। গত বুধবার (২৯ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান মসজিদ প্রাঙ্গণে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়। এ সময় জামিউল আজহারের ইতিহাস ও বিশ্বব্যাপী ইসলামী শিক্ষা প্রচারে এর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে অংশ নেন আল-আজহারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. মুহাম্মদ আল-দুয়াইনি, আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ড. সালামা দাউদ, ইসলামিক রিসার্চ একাডেমির সদস্য ড. আব্বাস সুমান, ড. হাসান আল-শাফেয়িসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ীরা।

এক বিবৃতিতে গ্র্যান্ড ইমাম ড. আহমদ আত-তাইয়িব বলেছেন, ‘১০৮৩ বছর ধরে আল-আজহার আল্লাহর অনুগ্রহে পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহর প্রজ্ঞার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে ভূমিকা রাখছে। এ সময় আলোকিত মধ্যপন্থা রীতিকে ধারণ করে যুক্তিনির্ভর ও প্রথাগত জ্ঞানচর্চা এবং আধ্যাত্মিক অনুশীলনে প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তা শুধু মানবসভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যায়লই নয়; বরং পুরো মানবজাতির কল্যাণে এর রয়েছে সুমহান বার্তা। বুদ্ধিবৃত্তিক জগতে তা একটি উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা। আমরা মহান আল্লাহর কাছে এই বার্তা বহন ও দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা কামনা করি।’

রমজান উপলক্ষে প্রতিদিন এর মসজিদে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান চলছে। প্রতিদিন এখানে ১০ কিরাতে ২০ রাকাত তারাবির নামাজের পাশাপাশি আলোচনাসভাও অনুষ্ঠিত হয়। তা ছাড়া মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রতিদিন চার হাজার শিক্ষার্থীর ইফতার বিতরণ করা হয়। আল-আজহারের মিডিয়া শাখার উদ্যোগে প্রতিদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এশা ও তারাবির নামাজের লাইভ ভিডিও সম্প্রচার করা হয়।

২০১৮ সালের মে মাসে শায়খুল আজহার ড. আহমদ আত-তাইয়িবের নেতৃত্বে আল-আজহারের সর্বোচ্চ পরিষদ ৩৬১ হিজরির ৭ রমজানকে আল-আজহার প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে বিশ্বের ১২০টি দেশের ৫০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে।

৯৭০ বা ৯৭২ খ্রিস্টাব্দ মোতাবেক ৩৬১ হিজরির ৭ রমজান জুমার নামাজ পড়ার মাধ্যমে জামিউল আজহার প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন ফাতেমি খলিফা আল-মুইজ লি-দিনিল্লাহর নির্দেশে সেনাপতি জওহর সিকিল্লি ফাতেমির তত্ত্বাবধানে তা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। মরক্কোর আল-কারাওইন ও তিউনিশিয়ার আজ-জাইতুনার পর এটিকে বিশ্বের তৃতীয় প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে মনে করা হয়। মসজিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও কয়েক বছর পরই তা বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। প্রথম দিকে তা ইসমাইলি শিয়াদের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হলেও ৫৮৯ হিজরিতে সালাহুদ্দিন আইয়ুবির মিসর জয়ের পর তিনি এ প্রতিষ্ঠানকে সুন্নি ধারার ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলেন।

সূত্র : আল-আহরাম


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫