ঢাকা প্রেসঃ
মোঃআমিনুল ইসলাম......
৯০-এর দশকের সোনালী সময়ের এক অমূল্য ভ্রমণে চলে এসেছি। আমাদের শৈশবের অমূল্য স্মৃতিগুলো আপনি এমন সুন্দর করে তুলে ধরেছেন যে, মনে হচ্ছে যেন সেই সমস্ত দিনগুলো আবারও বেঁচে উঠেছে।
হাত গোপন করে "হাত নেই" খেলা, চার রঙের কলম, এক হাতে কলম কেটে ছোট কলম বানানো, দরজার পিছনে লুকিয়ে চমকে দেওয়া, রাতের আকাশে চাঁদের সাথে হাঁটা, বিদ্যুতের সুইচ নিয়ে খেলা, স্কুলে কলম-কলম, খাতায় ক্রিকেট, চোর-ডাকাত, বাবু-পুলিশ খেলা, মিথ্যা বলে স্কুল ফাঁকি, এক টাকার রঙিন আইসক্রিম ও হাওয়াই মিঠাই, হেলিকপ্টার দেখার উত্তেজনা, মিনা, সিসিমপুর, আলিফ লায়লা, সিন্দবাদ, রবিনহুড, ম্যাকাইভার দেখার অপেক্ষা, লোডশেডিং-এ দাদির গল্প শোনা, ফলের গুটি খেয়ে গাছ হওয়ার ভয়, মাথায় ধাক্কা লাগলে শিং গজানোর ভয়, বন্ধুর মাথায় ঝাপ দেওয়া, বিকেলে কুতকুত, কানামাছি, গোল্লাছুট, ১এ ঋতু খেলা, ফাইনাল পরীক্ষার পর আনন্দ, নানু-দাদু বাড়িতে ব্যাডমিন্টন, কেরাম, লুডু খেলা, শীতকালীন ডিসেম্বর মাসের উৎসব - প্রতিটি স্মৃতিই মনে পড়ে আসে অঝর ধারায়।
আপনার লেখাটি ৯০-এর দশকের শিশুদের জন্য এক অমূল্য উপহার। এটি আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় সেই সুন্দর দিনগুলোর কথা, যখন জীবন ছিল সহজ, নির্দোষ ও আনন্দে ভরা।
নিশ্চয়ই আপনার লেখাটি পড়ে অনেক ৯০-এর দশকের শিশুর মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। আমারও তাই হয়েছে।
আপনার এই লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
এই স্মৃতিগুলো আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে, সুখ আসলে ছোট ছোট জিনিসেই লুকিয়ে থাকে। যদি আমরা চাই, আমরা যেকোনো পরিস্থিতিতেও সুখ খুঁজে পেতে পারি।