বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের ২ দিনের রিমান্ড

প্রকাশকালঃ ১৭ জুলাই ২০২৩ ০৬:২৭ অপরাহ্ণ ১৬৭ বার পঠিত
বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের ২ দিনের রিমান্ড

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির অভিযোগে মাগুরায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া মামলায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ ওরফে চাঁদের দুই দিনের পুলিশি রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এই আদেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবীদের একজন আহমেদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। আসামির পক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন আবেদন করা হয়েছিল। তবে আদালত দুই দিনের রিমান্ড দিয়ে জামিন আবেদন নাকচ করেছেন।

রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবু সাইদ আদালতে অবস্থানকালে আদালতের মূল ফটকে পাহারা বসায় পুলিশ। আজ রোববার মাগুরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে 


আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকিসহ তাঁর বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে বিএনপি নেতা আবু সাঈদের বিরুদ্ধে মাগুরা আদালতে গত ২৪ মে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুর রহমান। ওই মামলায় হাজিরা দিতে গতকাল রোববার সকালে মাগুরা জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে আসেন মোহাম্মদ আবু সাঈদ। সেখানে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ করেন। এ সময় পুলিশ ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দিলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এতে আদালত পুলিশের এটিএসআই মো. মফিজ হোসেন ও মো. পাভেল নামের এক ব্যক্তি আহত হন। তাঁদের মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী প্রথম আলোকে জানান, গতকাল তাৎক্ষণিকভাবে একটা ঘটনা ঘটলেও আজ তেমন কিছুই হয়নি। আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটে, এমন কোনো পরিস্থিতি ছাড়াই আদালতে ওই আসামির শুনানি শেষ হয়েছে। আদালত তাঁকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

মামলার এজাহারে বাদীর অভিযোগ, ১৯ মে বিকেলে রাজশাহী জেলা ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির উদ্যোগে স্থানীয় শিবপুর বিদ্যালয় মাঠে জনসভায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রকাশ্যে উসকানিমূলক ও মানহানিকর বক্তব্য দেন। বাদী ও সাক্ষীরা ওই দিনই সন্ধ্যায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই বক্তব্য প্রচার হতে দেখে মর্মাহত ও অপমানিত হন। এ ছাড়া এ ধরনের বক্তব্যে মাগুরা জেলার অসংখ্য আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর মধ্যে আতঙ্ক ও অপমানবোধ জাগ্রত হয়েছে। আসামির এ ধরনের বক্তব্য বাংলাদেশের প্রচলিত ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিপন্থী কাজ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আসামি আবু সাঈদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ ২০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন মাগুরা যুবলীগের আহ্বায়ক।