নওগাঁর পিপির বিরুদ্ধে বিচারকদের হুমকি ও আদালত অবমাননার অভিযোগ

প্রকাশকালঃ ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ০১:১১ অপরাহ্ণ ০ বার পঠিত
নওগাঁর পিপির বিরুদ্ধে বিচারকদের হুমকি ও আদালত অবমাননার অভিযোগ

ঢাকা প্রেস,নওগাঁ প্রতিনিধি:-

 

নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এবং জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এ জেড এম রফিকুল আলমের বিরুদ্ধে বিচারকদের উদ্দেশে অশোভন বক্তব্য প্রদান, হুমকি এবং আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নওগাঁ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলাম বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। এই আবেদনে নওগাঁ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আরও সাতজন বিচারক স্বাক্ষর করেছেন।
 

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনও এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে পিপি রফিকুল আলমকে ১০ দিনের মধ্যে অপসারণের দাবি জানিয়েছে। রোববার (১ ডিসেম্বর) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও মহাসচিব মুহম্মদ মাজহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।

 

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ নভেম্বর চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যার প্রতিবাদে নওগাঁ আদালত চত্বরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় পিপি রফিকুল আলম বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী অনেক বিচার করেছেন। আপনারা আওয়ামী লীগের সময় নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। কিছু বিচারক আছেন, যারা এমপি-মন্ত্রীর আত্মীয়। বিচারকদের সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে, নয়তো ছাত্র-জনতা আপনাদের ঘেরাও করবে।”
 

তিনি আরও বলেন, “কোনো সন্ত্রাসী লীগের কর্মী আদালতে আত্মসমর্পণ করলে, সেই আদালত ঘেরাও করা হবে। ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকলে আইনজীবী ও ছাত্র জনতাসহ কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
 

অভিযোগে বলা হয়েছে, এসব বক্তব্য বিচার বিভাগের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এবং জনসাধারণের মধ্যে বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায়। এটি সরাসরি আদালত অবমাননার শামিল।

 

এ বিষয়ে রফিকুল আলম বলেন, “সেদিন আমি একজন আইনজীবী বা সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে নয়, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে বক্তব্য দিয়েছিলাম। কিছু ম্যাজিস্ট্রেট আইন লঙ্ঘন করে অপরাধীদের জামিন দিচ্ছেন, যা ন্যায়বিচার ব্যাহত করছে। সেই প্রেক্ষাপটেই বক্তব্য দিয়েছি। সুপ্রিম কোর্ট আমাকে ডেকেছে। সেখানে আমি ব্যাখ্যা দেব।”
 

বিচার বিভাগের প্রতি অশ্রদ্ধা ও আইন লঙ্ঘনকারী বক্তব্যের অভিযোগে বিষয়টি এখন তদন্তাধীন।