ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট চালু হতে যাচ্ছে শিগগিরই

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট চালু হতে যাচ্ছে চলতি মাসেই। সম্প্রতি দুই দেশের সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠকে ২৭ অথবা ২৯ জুলাই হাট চালুর বিষয়ে প্রাথমিক দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে আরেকটি বৈঠক করে চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণ করা হবে। দীর্ঘ চার বছর চার মাস পর হাটটি চালু হতে যাচ্ছে।
এদিকে বৈঠকে ভারতীয়দের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের মাছ ও শুঁটকির চাহিদা থাকার কথা উল্লেখ করা হয়। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যে ধরনের ভারতীয় পণ্যের চাহিদা রয়েছে সেগুলো থাকে এই হাটে। বৈঠকে হাটের সর্বশেষ সংস্কারকাজ নিয়ে আলোচনা হয়। এর আগে ব্যবস্থাপনা কমিটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে হাটের সার্বিক পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন।
হাট চালুর বিষয়ে বাংলাদেশ অংশের সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জেসমিন সুলতানা বৈঠক শেষে কালের কণ্ঠকে জানান, দুই দেশের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাথমিকভাবে দুটি তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে আরো একটি বৈঠক করা হবে। ওই বৈঠকে সপ্তাহের কোন দিন ও কয়দিন হাট চালু থাকবে—এসব বিষয়েও আলোচনা হবে। এরই মধ্যে হাটের সংস্কারকাজ প্রায় শেষ করা হয়েছে। আরো যেসব কাজ বাকি আছে সেগুলো দ্রুত শেষ করা হবে।
বৈঠকে ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহিজলা জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত মজুমদার ভারতের নেতৃত্ব দেন। তিনিও হাটের সার্বিক অবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে হাট চালু হলে আগের অবস্থা ফিরে পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান স্বপন, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরিয়ার মুক্তার, কসবা পৌর মেয়র এম জি হাক্কানি, কসবা থানার ওসি রাজু আহমেদসহ বিজিবি-বিএসএফের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের জুনে যাত্রা শুরু করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার তারাপুর ও ভারতের সিপাহিজলা জেলার কমলাসাগর এলাকার সীমান্ত হাট। দুই দেশের ৫০টি করে মোট ১০০টি দোকান বসত ওই হাটে। করোনা মহামারি দেখা দিলে ২০২০ সালের ১০ মার্চ থেকে হাটের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। মূলত সীমান্ত এলাকার পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারীদের এ হাট থেকে পণ্য কেনার নিয়ম রয়েছে। তবে কসবা উপজেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ এই হাটে এসে পণ্য কিনে নিয়ে যেতেন। বাংলাদেশি পণ্যের চেয়ে ভারতীয় পণ্যের চাহিদা বেশি ছিল ওই হাটে। প্রতি রবিবার বসত হাট।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫