খতিব মুহিবুল্লাহ ‘অপহরণ’ নয়, স্বেচ্ছায় গা ঢাকা দিয়েছিলেন — পুলিশের দাবি
গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানার টিএনটি বাজার জামে মসজিদের খতিব আলহাজ ক্বারি মুফতি মহিবুল্লাহ মিয়াজী (৬০) ‘অপহৃত’ হননি—তিনি নিজেই পরিকল্পিতভাবে গা ঢাকা দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ তাহেরুল হক চৌহান এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে দাবি করা হয়েছিল, ইমাম মহিবুল্লাহকে ইসকন সদস্যরা অপহরণ করেছে। কিন্তু তদন্তে দেখা গেছে, তিনি নিজেই শ্যামলী পরিবহনের বাসের টিকিট কেটে পঞ্চগড়ে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় পুরো ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে।”
অতিরিক্ত কমিশনার আরও জানান, ইমাম মহিবুল্লাহর সঙ্গে একই বাসে থাকা যাত্রী ও বাসের সুপারভাইজারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ইমাম মহিবুল্লাহ নিজেও পুলিশের কাছে প্রকৃত ঘটনা স্বীকার করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনের আগে পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “খতিব মহিবুল্লাহ নিজেই অপহরণের নাটক সাজিয়েছিলেন। এমনকি তিনি নিজের পায়ে শিকল লাগিয়ে শুয়ে ছিলেন—সবকিছুই ছিল তার নিজস্ব পরিকল্পনার অংশ। তাকে কেউ পঞ্চগড়ে নিয়ে যায়নি।”
তিনি আরও জানান, সিসিটিভি ফুটেজ, মোবাইল ট্র্যাকিং এবং চিকিৎসকের প্রতিবেদনে মহিবুল্লাহর দেওয়া বক্তব্যের সঙ্গে বড় ধরনের অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। এসব প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত শেষ হলে তার বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দাখিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মুহিবুল্লাহর বর্ণিত সময় ও স্থান অনুযায়ী এলাকাটির একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অপহরণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ২২ অক্টোবর সকালে টঙ্গীর বাসা থেকে হাঁটতে বের হয়ে নিখোঁজ হন খতিব মুহিবুল্লাহ। পরদিন (২৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের সিতাগ্রাম হেলিপ্যাড এলাকায় পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়কের পাশে শিকলবন্দি অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫