গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট ইফতেখার ও করপোরাল মুকুল। তাদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল ফোন, হীরা ও স্বর্ণালঙ্কার, ল্যাপটপ, তিনটি ঘড়ি, কিছু প্রসাধনসামগ্রী, ইয়াবা এবং একটি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ভুয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ওই বাসায় প্রবেশ করে সাত-আটজনের একটি দল। অভিযোগ ছিল, বাসাটিতে আগে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকা বোরহানের কাছে অবৈধ অস্ত্র আছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তারা বাসায় ঢোকে। বাসার মালিক হোসেন আরা চম্পা তখন হাসপাতালে ছিলেন। তার অনুপস্থিতে ভেতরে থাকা শিশু ও গৃহকর্মীর সামনে তারা ঘর তছনছ করে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে। পরে মালিককে ফোন করে টাকা দাবি করা হয়।
চম্পার ভাই জহুরুল ইসলাম জানান, ঘটনার সময় তার বোন হাসপাতালে ছিলেন। ডাকাতরা নিজেদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে দরজা খোলায়। চিৎকার শুনে তাদের ধাওয়া করেন স্থানীয় বাসিন্দা হারুনুর রশিদ। মিরপুর-১২ এনডিসি চেকপোস্টের কাছে গাড়িটি আটকে গেলে স্থানীয়দের সহায়তায় চারজনকে আটক করা হয়।
অন্য একটি সূত্রে জানা যায়, ডাকাতির পর মালামাল ভাগাভাগি নিয়ে দলটির মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। এক সদস্য চেকপোস্টে গিয়ে বাকিদের ‘ভুয়া আর্মি’ হিসেবে শনাক্ত করেন, ফলে ধরা পড়েন তারা।
জিজ্ঞাসাবাদে মুকুল জানান, মিরপুর-১০ নম্বরে এক চায়ের দোকানে হারুনুর রশিদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। হারুনই অস্ত্র সংরক্ষণের অভিযোগ তোলেন এবং অভিযানে অংশ নিতে উৎসাহিত করেন।
মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার সালেহ মো. জাকারিয়া বলেন, “সেনাবাহিনীর সহায়তায় চারজনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।” তিনি আরও জানান, ভাড়াটিয়ার ছেলে এবং একটি উবার চালকের মধ্যকার সম্পর্ক থেকেই পুরো পরিকল্পনার সূত্রপাত।