ইউক্রেনে বাঁধ বিপর্যইয়ে পানিতে ভেসে গেছে মাইন

দক্ষিণ ইউক্রেনের কাখোভকা বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় পুঁতে রাখা ল্যান্ড মাইনগুলো পানিতে স্থানচ্যুত হয়ে ভেসে গেছে। এর ফলে বিপর্যয়কর অবস্থা ঘটতে পারে বলে সতর্ক করেছে রেড ক্রস। রাশিয়া এবং ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলকে বিভক্তকারী ডিনিপ্রো নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় খেরসন অঞ্চলের কিছু অংশ থেকে হাজার হাজার মানুষকে ইতিমধ্যেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইউক্রেন ও রাশিয়া উভয়েই কাখোভকা বাঁধ ধ্বংসের জন্য একে অপরকে দায়ী করেছে।
রাশিয়ার দখলে থাকা ওলেশকিতে বন্যায় তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শহরের নির্বাসিত ইউক্রেনের মেয়র ইয়েভেন রিশচুক বলেছেন, তিনি মনে করেন আরো হতাহতের ঘটনা ঘটবে। বিবিসি ইউক্রেনীয় এবং রাশিয়ান কর্মকর্তাদের দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
রেড ক্রসের অস্ত্র দূষণ ইউনিটের প্রধান এরিক টোলেফসেন সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, মাইনগুলো কেবল খেরসন বাসিন্দাদের জন্য নয়, যারা সাহায্য করতে এসেছে তাদের জন্যও বড় উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, ‘আমরা জানি না কোথায় বিপদ আছে, এখনো আমরা জানি না। আমরা শুধু জানি, মাটিতে কোথাও মাইনগুলো আছে।’
ইউক্রেনের সামরিক দক্ষিণ কমান্ডের একজন মুখপাত্র নাটালিয়া হুমেনিউক ইউক্রেনের একটি টিভিকে বলেছেন, ‘অনেক মাইন (রুশ বাহিনীর দখলকৃত এলাকায়) বন্যার কারণে ভাসমান মাইনে পরিণত হয়েছে। ভাসমান মাইনগুলো কিছুতে আঘাত করলেই বিস্ফোরিত হয়ে বড় ধরনের বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে’
রাশিয়ান নিয়ন্ত্রিত নোভা কাখোভকার বাঁধটি মঙ্গলবার ভোরে রুশ বাহিনী ধ্বংস করে দিছে বলে জনা গেছে। ফলে পানির স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় জনসাধারণকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন, নদীর তীরবর্তী ৩০টি শহর ও গ্রাম প্লাবিত হয়েছে এবং ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের রাজধানী খেরসন শহরে প্রায় ২ হাজার ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে।
একজন নারী যিনি রুশ-অধিকৃত নদীর পূর্ব দিক থেকে উদ্ধারকারী নৌকায় করে খেরসনে পৌঁছেছেন তিনি বলেন, মঙ্গলবারের প্রথম দিকে তিনি বিপর্যয়ের পর পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে চেয়েছিলাম কিন্তু পানি দ্রুত বাড়তে থাকে। আমার পা পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছিল। সত্যিই দ্রুত বন্যা শুরু হয়েছিল।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহোর ক্লাইমেনকো বলেছেন, ইউক্রেনীয়রা ডিনিপ্রো নদীর দুই পাশের মানুষকে সাহায্য করার জন্য চেষ্টা করছে। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ডান দিকে (ইউক্রেনীয়-নিয়ন্ত্রিত) তীরের সবাইকে বাঁচাচ্ছি এবং বাম তীরের (রাশিয়ান-নিয়ন্ত্রিত) মানুষদের সাহায্য করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করছি।’
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫