জুলাইয়ের অঙ্গীকার সংস্কার-বিচার নিশ্চিত হলে আগামীকালই নির্বাচন দেন

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, জুলাইয়ের অঙ্গীকার অনুযায়ী সংস্কার ও বিচার নিশ্চিত করা হলে আগামীকালই নির্বাচন দিতে তাদের কোনো আপত্তি নেই। তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি নির্বাচনী ব্যবস্থা চাই যেখানে আর কোনো ফ্যাসিস্ট জন্ম নেবে না। সেই পদ্ধতি হলো পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন)। সরকারের তিনটি প্রধান অঙ্গীকার ছিল—সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন। এর মধ্যে সংস্কার ও বিচার বাস্তবায়ন হলেই আগামীকালই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিন।”
 

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা-১০ আসনে আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
 

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, “রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন আমাদের প্রধান কর্মসূচি। কিন্তু বর্তমান ব্যবস্থায় আমরা দেখেছি রাতের ভোট, ডামি ভোট। এই ব্যবস্থা শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্ট তৈরি করেছে। তাই ব্যর্থ প্রমাণিত এই ব্যবস্থায় আর কোনো নির্বাচন চাই না।”
 

তিনি আরও বলেন, “স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও মানুষের আশা পূরণ হয়নি। বরং দুর্নীতি চরমে পৌঁছেছে, হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। হাসিনার আমলে আমরা আইয়্যামে জাহেলিয়াতের ন্যায় বর্বরতা দেখেছি। ৫ আগস্ট আমাদের সামনে সুযোগ এসেছিল, কিন্তু প্রয়োজনীয় সংস্কার হয়নি, বিচারও হয়নি। এমন বাস্তবতায় পুরোনো বন্দোবস্তের নির্বাচন নিয়ে মাতামাতির অর্থ কী?”
 

তিনি দাবি জানান, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় জুলাই বিপ্লবীদের ফাঁসির ঝুঁকি তৈরি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
 

বিএনপির এক নেতার সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, “আমাদের সম্পর্কে ওই মন্তব্য শিষ্টাচার বহির্ভূত। তাকে বলবো—ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে ইসলামী আন্দোলনের ভূমিকা জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বা বরকতুল্লাহ বুলুর কাছে জিজ্ঞেস করুন।”
 

গণসমাবেশ থেকে ঢাকা-১০ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে আলহাজ আব্দুল আউয়ালের নাম ঘোষণা করে তিনি বলেন, “দেশে অনেক দলের শাসন দেখেছে, কিন্তু ইসলামের শাসন এখনো দেখেনি। এবার ইসলামকে সুযোগ দিন, দেখবেন আপনাদের হাজার বছরের লালিত আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে ইনশাআল্লাহ।”
 

আলহাজ আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে হাজারীবাগ ট্যানারি মোড়ে অনুষ্ঠিত এ গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ইমতেয়াজ আলম, যুব আন্দোলনের সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ এবং কে এম শরীয়াতুল্লাহ।