যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে বা ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ হবে, তারা এখনও ভোটার না হলে দ্রুত ভোটার হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ: ২ জানুয়ারি খসড়া প্রকাশ ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানিয়েছেন, আগামী ২ জানুয়ারি ২০২৪ সালে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। যাদের জন্ম ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে, কিন্তু এখনও ভোটার হননি, তাদেরকে সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে ভোটার হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এছাড়া, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) কোনো ভুল রয়েছে, তাদের দ্রুত সংশোধনের জন্য একই অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
বর্তমান ভোটার সংখ্যা এবং পরিবর্তন ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারিতে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় ছিল ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ১৫৭ জন ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ছিলেন ছয় কোটি পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ১৬৯ জন, নারী ছিলেন পাঁচ কোটি ৮৭ লাখ ৪০ হাজার ১৪০ জন, এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ছিলেন ৮৪৮ জন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর, ২০২৪ সালের ২ মার্চ প্রকাশিত হালনাগাদ তালিকায় ভোটার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। অর্থাৎ এক বছরে নতুন ভোটার হয়েছেন ২৫ লাখ ১৭ হাজার।
তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার উদ্যোগ নতুন নির্বাচন কমিশন তরুণ ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, ১ জানুয়ারি ২০২৫ সালে যারা ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন, তাদের তথ্য ইতোমধ্যেই সংগ্রহ শুরু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে কমিশনের হাতে ১৭ লাখ নতুন ভোটারের তথ্য রয়েছে, যা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা হবে। বাদপড়া ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্যও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ প্রক্রিয়া আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশের নাগরিকরা ১৮ বছর পূর্ণ করলেই ভোটার হতে পারেন। যেকোনো সময় ভোটার হওয়ার সুযোগ থাকলেও, নির্বাচন কমিশন প্রতিবছর ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে এবং ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করে।
এই চূড়ান্ত তালিকার ভিত্তিতেই জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। নতুন ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।