আমরা ‘কুরআনের নূর’কে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই

প্রকাশকালঃ ২১ মে ২০২৩ ০৪:২৭ অপরাহ্ণ ১১৮ বার পঠিত
আমরা ‘কুরআনের নূর’কে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই

জ বর্ণাঢ্য পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা ‘কুরআনের নূর পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা গ্রুপ’। প্রতিযোগিতার আয়োজক ছিল জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের মুসল্লি কমিটি। বিচারক ছিলেন দেশসেরা হাফেজ, কারি ও আলেমরা। প্রতিযোগিতার আয়োজন নিয়ে বায়তুল মোকাররম মুসল্লি কমিটির সভাপতি হাজি মো. ইয়াকুব আলীর সঙ্গে কথা বলেন আতাউর রহমান খসরু।
 
আমি একটু পেছন থেকে শুরু করতে চাই। বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বহু আগ থেকেই একটি মুসল্লি কমিটি আছে। এই কমিটির মূল কাজ মুসল্লিদের জন্য নামাজের সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং মুসল্লিদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে সঠিক পরামর্শ দেওয়া। কিন্তু নানা প্রতিকূলতার কারণে মুসল্লি কমিটি তাদের কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা রাখতে পারছিল না।

এরই মধ্যে ২০২১ সালে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন বসুন্ধরা গ্রুপের সম্মানিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর। তখন বায়তুল মোকাররমের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়। আমরা তাঁকে বায়তুল মোকাররমের মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার প্রস্তাব করি এবং তিনি তা সাদরে গ্রহণ করেন। মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পর থেকে আমরা যখন যে দাবি নিয়ে হাজির হয়েছি, তিনি তা পূরণ করেছেন; বরং আমরা যতটুকু চেয়েছি তাঁর থেকে অনেক বেশি পেয়েছি।


যেমন আমরা আবেদন করেছিলাম, ১০ জনকে ওমরাহ করানোর। তিনি ওমরাহ করান ১১০ জনকে।

এখন আসি ‘কুরআনের নূর’-এর কথায়। বসুন্ধরা গ্রুপের সম্মানিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর আমাদের বলে রেখেছিলেন, যাঁরা হজ বা ওমরাহ করবেন, সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে তাঁদের আমার কাছে নিয়ে আসবেন।


সে হিসেবে আমরা একদল ওমরাহ যাত্রীকে নিয়ে তাঁর কাছে গেলাম। তখন তাঁর হল রুমে আন্তর্জাতিক পুরস্কার বিজয়ী কোনো একজন শিশু হাফেজের তিলাওয়াত চলছিল। আমরা বললাম, আমরা হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার এমন একটি আয়োজন করতে পারি কি না? বসুন্ধরা গ্রুপের সম্মানিত এমডি বললেন, অবশ্যই পারি। তবে আমাদের আয়োজনটা হতে হবে সবচেয়ে সুন্দর এবং সবচেয়ে বড়। যেন তা একজন হাফেজে কোরআনের জন্য মর্যাদার প্রতীক হয়।

তিনি সম্মতি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা কাজ শুরু করলাম। তিনিও আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করলেন। আয়োজনের প্রথম দিন থেকে এখন পর্যন্ত আমরা কখনো কোনো কিছুর অভাব অনুভব করিনি। ‘কুরআনের নূর’-এর প্রচারে কালের কণ্ঠ, নিউজ টোয়েন্টিফোর ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের ভূমিকাও ছিল অত্যন্ত আন্তরিক।

একটি কথা না বলে পারছি না, বাংলাদেশে ইসলামের সেবায় বসুন্ধরা গ্রুপের অবদান নজিরবিহীন। মসজিদ, মাদরাসা প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে অসহায়-দুস্থ মানুষের পাশে থাকাসহ এমন কোনো সেবামূলক ক্ষেত্র পাবেন না, যেখানে বসুন্ধরা গ্রুপের অবদান নেই। বসুন্ধরা গ্রুপের আন্তরিক সহযোগিতায় প্রথমবারই ‘কুরআনের নূর’ যেভাবে অনুষ্ঠিত হলো, সে ধারা অব্যাহত থাকলে আমরা আশা করি, তা একদিন হাফেজদের জন্য মর্যাদার প্রতীক হবে। তা সমাজে কোরআনের আলো ছড়িয়ে দিতে এবং কোরআনসেবীদের মর্যাদা বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। সারা দেশের আলেমরা এই আয়োজনে অত্যন্ত মুগ্ধ। আমাদের স্বপ্ন কোরআনের নূরকে আমরা আন্তজার্তিক পর্যায়ে নিয়ে যাব। বসুন্ধরা গ্রুপ আমাদের পাশে থাকলে সে স্বপ্ন একদিন পূরণ হবে ইনশাআল্লাহ!