ঢাকা প্রেস; নিজস্ব প্রতিবদন:
জামালপুর জেলার বানিয়া বাজার এলাকার জহুরুল ইসলাম জনি। একজন প্রতিভাবান সুরকার, গীতিকার, গায়ক এবং তবলাবাদক। জনি আজ শুধু জামালপুরের নয়, বরং সমগ্র বাংলাদেশের সঙ্গীত প্রেমীদের কাছে একজন পরিচিত মুখ।
সঙ্গীতের সাথে পরিচয়:
১৯৯২ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণকারী জনি ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীতের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। তার পিতা আব্দুল মালেক, একজন কণ্ঠশিল্পী ও ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ী, ছিলেন জনি'র অনুপ্রেরণা। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া অবস্থায় তিনি সঙ্গীতের জগতে পা রাখেন।
শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ:
২০১২ সালে জামালপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে তবলায় প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে জনি'র আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে তিনি ময়মনসিংহ জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে সঙ্গীতে প্রশিক্ষণ লাভ করেন।
সুরের মায়ায় জাগানো জামালপুর: জনি, যিনি জয় করেছেন সবার মন
কর্মজীবন:
জনি'র রচিত ও সুরারোপিত গানে কন্ঠ দিয়েছেন দেশের অনেক খ্যাতিমান শিল্পী। আশরাফ উদাস, ফাহমিদা রত্না, খুশবু, ক্লোজআপ ওয়ান তারকা মৌসুমী আক্তার সালমা, তোশিবা, নিগার সুলতানা পপি, আঁখি আনজুম, মৌসুমী ইকবাল, ইয়াসমিন ফিরোজ বাঁধন সহ আরও অনেকেই তার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।
এছাড়াও জনি'র একাধিক গান টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে এবং তার অ্যালবামও বাজারে এসেছে।
সাফল্যের পেছনে:
জনি'র সাফল্যের পেছনে রয়েছে তার অক্লান্ত পরিশ্রম, প্রতিভা ও সবার সহযোগিতা। তার পিতা, মা, বড় বোন, বন্ধুবান্ধব, জামালপুর ও ময়মনসিংহ জেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য।
জনি একাডেমি:
জীবনযুদ্ধে সংগ্রামশীল এই তরুণ সঙ্গীতশিল্পী জামালপুর শহরের বানিয়াবাজারে 'জনি একাডেমি' নামে একটি সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। এখানে তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের নামমাত্র মূল্যে তবলা ও গান শেখান।
জনি একজন প্রতিভাবান ও উদ্যমী যুবক যিনি তার সঙ্গীতের মাধ্যমে সকলের মন জয় করেছেন।