বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের আয়োজনে দেশের সেরা সাঁতারু খুঁজে বের করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে অনুষ্ঠিত হলো প্রথম পর্বের শেষ প্রতিযোগিতা। এতে ৪০ জন প্রতিযোগী পেয়েছেন কাঙ্ক্ষিত ‘ইয়েস কার্ড’।
শনিবার সকালে চাঁদপুর শহরের মুক্তিযোদ্ধা সড়কের পাশে ‘অঙ্গীকার’ সংলগ্ন লেকে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন ছয় জেলার ১৭০ জন সাঁতারু। সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে প্রতিযোগিতা, যা উপভোগ করতে ভিড় করেন হাজারো দর্শক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মোহাম্মদ মোহসিন উদ্দিন বলেন, “এই ধরনের আয়োজন জেলা পর্যায়ে তরুণদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুর রকিব, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ফাহিম আহমেদ এবং বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শাহিন।
মাহবুবুর রহমান শাহিন বলেন, “চাঁদপুরে ৬ জেলার ১৭০ জন প্রতিযোগী অংশ নিয়েছে। তাদের মধ্য থেকে ৪০ জন সাঁতারুকে ‘ইয়েস কার্ড’ প্রদান করা হয়েছে। যারা নির্বাচিত হয়েছে, তাদের দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। আমাদের লক্ষ্য—বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক মানের সাঁতারু গড়ে তোলা।”
প্রতিযোগীদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী অংশগ্রহণ ছিলো—
৯-১১ বছর বয়সী বালক: ৩০ জন
৯-১১ বছর বয়সী বালিকা: ৬ জন
১২-১৫ বছর বয়সী বালক: ১০৯ জন
১২-১৫ বছর বয়সী বালিকা: ২৩ জন
‘ইয়েস কার্ড’প্রাপ্ত সাঁতারুর সংখ্যা—
৯-১১ বছর বয়সী বালক: ৪ জন
৯-১১ বছর বয়সী বালিকা: ৩ জন
১২-১৫ বছর বয়সী বালক: ২০ জন
১২-১৫ বছর বয়সী বালিকা: ১৩ জন
সব মিলিয়ে মোট ৪০ জন সাঁতারু (বালক ২৪, বালিকা ১৬) ‘ইয়েস কার্ড’ লাভ করেন।
এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশের সম্ভাবনাময় সাঁতারুদের তুলে ধরার পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ সুগম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আয়োজকরা।