ঢাকা প্রেস নিউজ
বিট, যা লাল চামচিকা নামেও পরিচিত, একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর শাকসবজি যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে বিটের রস পান করা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তচাপ উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে।
বিট কীভাবে কাজ করে?
বিটের রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু উপায় রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
নাইট্রেট সমৃদ্ধ: বিট নাইট্রেটের একটি ভাল উৎস, যা শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডে রূপান্তরিত হয়। নাইট্রিক অক্সাইড রক্তনালীগুলিকে প্রসারিত করতে সাহায্য করে, যার ফলে রক্তচাপ কমে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: বিট অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা ফ্রি র্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্তনালীগুলিকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ফ্রি র্যাডিকেল রক্তনালীগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
ফাইবার: বিটে দ্রবীভূত এবং অদ্রবীভূত ফাইবার উভয়ই থাকে। দ্রবীভূত ফাইবার LDL ("খারাপ") কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে, যা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও বাড়াতে পারে।
পটাশিয়াম: বিট পটাশিয়ামের একটি ভাল উৎস, যা শরীর থেকে সোডিয়াম বের করে দিতে সাহায্য করে। সোডিয়াম রক্তচাপ বৃদ্ধি করতে পারে, তাই পটাশিয়ামের উচ্চ মাত্রা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
কতটা বিট খাওয়া উচিত?
বেশিরভাগ গবেষণায় প্রতিদিন ১-২ কাপ (২৫০-৫০০ মিলি) বিটের রস পান করা হয়েছে। আপনি যদি বিটের রস পছন্দ না করেন তবে আপনি রান্না করা বা কাঁচা বিট খেতে পারেন।
বিবেচ্য বিষয়:
যদি আপনার রক্তচাপের ওষুধ খান, তাহলে বিটের রস খাওয়ার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া করতে পারে। কিছু লোকে বিটের রস খাওয়ার পর পেট খারাপ, বমি বমি ভাব বা ডায়রিয়া হতে পারে। যদি আপনি এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি অনুভব করেন তবে আপনার বিটের রস খাওয়া কমাতে বা বন্ধ করতে হবে। যদি আপনার কিডনির সমস্যা থাকে তবে বিটের রস খাওয়ার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।
বিট একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর শাকসবজি যা আপনার রক্তচাপ কমাতে এবং আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। আপনার দৈনন্দিন খাদ্যে বিট অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিভিন্ন উপায় রয়েছে।