জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি দ্রুততর করতে সারাদেশের ভোটকেন্দ্র প্রস্তুতকরণের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ।
সোমবার (২১ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, নির্বাচন কার্যক্রম অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে। এর আগেই একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল, যার নির্দেশনা অনুসারে নির্বাচনী প্রস্তুতি অব্যাহত রয়েছে।
নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার জন্য ইতিমধ্যেই দেড় লাখ ইভিএম সেট ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, ছয়টি সফটওয়্যার, পাঁচটি যানবাহন এবং ৯ হাজার ২০০টি র্যাক ক্রয় করা হয়েছে। এসব ইভিএমের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ইসি সচিব জানান, তারা একটি কমিটি গঠন করবেন, যেটি ভবিষ্যৎ নীতিমালা নির্ধারণ করবে। তবে নির্বাচনে এ বছরের ভোটে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
একই সময়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ নিয়ে এখনও স্পষ্টতা আসেনি। সরকারের পক্ষ থেকে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে এ বিষয়ে তীব্র আলোচনা ও দরকষাকষি চলছে। বিএনপি ডিসেম্বরে নির্বাচন দাবি করলেও সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছে। তবে ভোট কখন অনুষ্ঠিত হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
এই প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, “আমার জানা তথ্য যেটা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য থেকে পাওয়া যায়, সেটাই দেশবাসীও জানে। সরকার বা প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো তারিখ ঘোষণা হয়নি। তবে কমিশন স্বাধীনভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে এবং ডিসেম্বর থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।”
সিইসি আরও জানান, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হলেও আগামী নির্বাচন সফলভাবে আয়োজন সম্ভব। সরকার ইতিমধ্যে পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনীসহ সব বাহিনীকে প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছে। জনগণের সমর্থন থাকলে আইনশৃঙ্খলা কোনো প্রতিবন্ধকতা হবে না। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং যে দিন নির্বাচন হবে, সেদিন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করার চেষ্টা করব।”
বিবিসি বাংলাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সিইসি বলেন, “আমাদের ধারণা নির্বাচন হতে পারে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি বা রমজানের আগে, অথবা এপ্রিলের প্রথমার্ধে। এই সময়কালে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব।”