|
প্রিন্টের সময়কালঃ ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৬:০১ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ৩১ আগu ২০২৫ ০২:৪৯ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও শিক্ষার্থী–স্থানীয় সংঘর্ষ, সহ-উপাচার্যসহ আহত অন্তত ১০ জন


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও শিক্ষার্থী–স্থানীয় সংঘর্ষ, সহ-উপাচার্যসহ আহত অন্তত ১০ জন


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার দুপুর ১২টার কিছু পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটসংলগ্ন জোবরা গ্রামে এ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনসহ অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হন।
 

সকাল থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কয়েকশ শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা মুখোমুখি অবস্থান নেন এবং পাল্টাপাল্টি স্লোগান দেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন এবং প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ দুই পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করেন, কিন্তু ব্যর্থ হন। কিছুক্ষণ পর শুরু হয় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ। এতে রক্তাক্ত অবস্থায় অন্তত ১০ শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাউকে দেখা যায়নি।

 


 

সংঘর্ষ শুরুর কিছুক্ষণ আগে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। স্থানীয় সন্ত্রাসীরা প্রক্টর ও পুলিশের তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এ বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
 

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটের পাশে একটি ভবনে এক ছাত্রী ভাড়া থাকেন। শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তিনি ভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে দারোয়ানের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দারোয়ান ওই ছাত্রীকে মারধর করেন। খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা দারোয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন শিক্ষার্থীরা তাকে ধাওয়া করলে স্থানীয় লোকজন শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে মারেন। পরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে আরও মানুষ জড়ো করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়।

 


 

অন্যদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরাই প্রথমে হামলা চালিয়েছে এবং ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেছে।
 

এর আগে শনিবার রাত সোয়া ১২টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত একই এলাকায় শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনায় অন্তত ৭০ শিক্ষার্থী আহত হন। রাত সাড়ে তিনটার দিকে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫