প্রকাশকালঃ
০২ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:৪৪ অপরাহ্ণ ২০৮ বার পঠিত
দইবড়া নবাবি আমলের একটি খাবার। এটি মূলত মসলা মেশানো টকদইয়ে ডালের বড়া দিয়ে রান্না করা একটি পদ। বেশ ঝাঁজালো স্বাদযুক্ত একটি খাবার। এটি সাধারণত রুচিবর্ধক খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। প্রায় সারা বাংলাদেশেই এ খাবারের প্রচলন আছে। এ ছাড়া পবিত্র রোজার মাসে ইফতারের সময় দইবড়া অন্যতম জনপ্রিয় খাবার। খেতে পছন্দ করেন বলে অনেকেই আছেন দইবড়া ঘন ঘন খেয়ে থাকেন। কিন্তু কোনো কিছুই বেশি খাওয়া শরীরের জন্য ভালো নয়। বিশেষ করে অনেকে দইবড়ায় খেসারির ডাল ব্যবহার করেন। এটি একদম ঠিক নয়, খেসারির ডালের দইবড়া শরীরের জন্য খুবই খারাপ। আজকাল মাষকলাই ডালের দইবড়ার চল বেড়েছে। এসব ডালে তৈরি হলে সেটা আবার ভালো। তাই বলে বেশি মাত্রায় ডাল বা দানাশস্য খাওয়া যাবে না। এতে শরীরের ওপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। বেশি দইবড়া খেলে শরীরের ওপর যেসব খারাপ প্রভাব পড়তে পারে-
পেটের সমস্যা: ডালজাতীয় শস্যে ভরপুর মাত্রায় ফাইবার থাকে। ফাইবার ডায়েটে রাখা ভালো। এটি হজমশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু বেশি মাত্রায় ফাইবার খেলে আবার বিপদ। মাত্রাতিরিক্ত ফাইবারে পেটের গোলমাল, আমাশার মতো সমস্যা হতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য: ডালে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার দুই-ই থাকে। ডালজাতীয় শস্য বেশি খেলে শরীরে পানির চাহিদা বেড়ে যায়। আর পর্যাপ্ত পানি না পেলে শুরু হয় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা।
কিডনিতে পাথর: অতিরিক্ত ডাল খেলে কিডনির ওপর অত্যধিক চাপ সৃষ্টি হয়। যার ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার শঙ্কা থাকে। কারণ, ডালে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার ও প্রোটিন, যা শরীরে অত্যধিক পরিমাণে প্রবেশ করলে ক্ষতি হতে পারে।
অ্যালার্জির সমস্যা: দানা শস্য থেকে অনেকেরই অ্যালার্জির সমস্যা হয়। ডাল অল্প মাত্রায় খেলে শরীরে ততটা খারাপ প্রভাব পড়ে না। কিন্তু খুব বেশি খেলেই বিপদ। অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে খাওয়ার পরপরই।
মাইগ্রেনের সমস্যা: যাঁদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ডায়েটে খুব বেশি ডাল না রাখাই ভালো। এতে মাইগ্রেনের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া দইয়ে ব্যবহৃত পাস্তুরিত এবং সমজাতীয় দুধে হিস্টামিনের সমস্যা (ব্রণ, একজিমা ইত্যাদি) হয়। কিছু মানুষের গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা হতে পারে। তাই দইবড়ায় ব্যবহার করা দই ঠিকমতো সংরক্ষণ করা দরকার।