কোরবানির ঈদ এগিয়ে আসায় এবার মসলার বাজারে অস্থিতিশীলতা শুরু

প্রকাশকালঃ ০১ জুন ২০২৪ ০১:৩৮ অপরাহ্ণ ৭৫১ বার পঠিত
কোরবানির ঈদ এগিয়ে আসায় এবার মসলার বাজারে অস্থিতিশীলতা শুরু

কোরবানির ঈদ এগিয়ে আসায় এবার মসলার বাজারের অস্থিতিশীলতা শুরু হয়েছে, বেড়েছে প্রায় সব ধরনের মসলার দাম। ঈদ আসতে এখনো দুই সপ্তাহের বেশি বাকি। তবে এরি মধ্যে চাহিদা বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের মসলার। আর এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করছেন ব্যবসায়ীরা। 

 

রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েকদিনে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বেশি বেড়েছে এলাচের দাম। বেড়েছে আদা, রসুন, জিরা, এলাচ, গোলমরিচ, লবঙ্গ, রসুন ও পেঁয়াজের দামও। বেড়েছে দামও। খুচরো বিক্রেতারা বলছেন, পণ্যের সংকট নেই তবুও বাড়তি দাম হাঁকছেন পাইকাররা। আর পাইকাররা দায়ী করছেন ডলারের দাম বৃদ্ধিকে। 

 

আবার শুল্ক বাড়ানোর কারণে কয়েকটি মসলার দাম বেড়েছে বলেও দাবি ব্যবসায়ীদের। তবে মসলার দাম বৃদ্ধিতে নতুন করে চাপ পড়ছে ভোক্তাদের। হঠাৎ করেই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিকে তারা ‘আগুনের’সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাদের অভিযোগ, বাজার তদারকি কাজে আসছে না। দাম বাড়ছেই প্রতিনিয়ত। 

 

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এলাচের দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশের বেশি। আর জিরা, দারুচিনি, লবঙ্গের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।আমদানি করা এলাচ এখন প্রতি কেজি ৩৬০০ থেকে ৩৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগেও দাম ছিল দুই হাজার থেকে ২৮০০ টাকা।

 

বাজারে বেশ কয়েক ধরনের এলাচ রয়েছে। এর মধ্যে আরএস ও আরএস জাম্বো বিক্রি হচ্ছে ৩৬০০ থেকে ৩৭০০ টাকা। আর মধ্যমানের ওয়াইএম-টু, ওয়াইএম ও এলএমজি নামের এলাচ বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার ২৫০ টাকা।কৃষির ভ্যালু চেইন তৈরিতে মনোযোগের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদেরকৃষির ভ্যালু চেইন তৈরিতে মনোযোগের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের 


পাইকারিতে প্রতি কেজি লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার টাকায়। এক মাস আগে ছিল এক হাজার ২০০ টাকা। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকায়। 

 

প্রায় ২০০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি কালো গোলমরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা এবং সাদা গোলা মরিচ এক হাজার ১০০ টাকায়। জিরার কেজিও ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজির দাম এখন ৭৫০ টাকা থেকে ৯২০ টাকা। কেজির ২০০ টাকার মতো বেড়েছে ধনে ও তেজপাতার দাম।