টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আইন ও নীতিমালা: বর্তমান পরিস্থিতি ও উদ্বেগ

প্রকাশকালঃ ১৮ মে ২০২৪ ১২:৫২ অপরাহ্ণ ৮০০ বার পঠিত
টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আইন ও নীতিমালা: বর্তমান পরিস্থিতি ও উদ্বেগ

ঢাকা প্রেসঃ
বাংলাদেশ ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ব্রডব্যান্ড সংযোগ প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে পৌঁছেছে এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক দেশের সকল প্রান্তে বিস্তৃত।

তবে, মানসম্মত সেবা এখনও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ইন্টারনেটের গতিতে বাংলাদেশ বিশ্বের ১৪৮টি দেশের মধ্যে ১১২তম স্থানে রয়েছে। বিভিন্ন খাতে অনলাইন সেবা ব্যবহারে নানা জটিলতা দেখা দিচ্ছে। সাইবার নিরাপত্তার অবস্থাও দুর্বল।

এই প্রেক্ষাপটে, সরকার টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিভিন্ন আইন সংশোধন ও নীতিমালা প্রণয়ন করছে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • টেলিযোগাযোগ আইন
  • ব্রডব্যান্ড নীতিমালা
  • ওটিটি (ওভার দ্য টপ) নীতিমালা
  • এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নীতিমালা
  • উপাত্ত সুরক্ষা আইন

কিন্তু এই আইন ও নীতিমালা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন মোবাইল অপারেটর, ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান, ফাইবার অপটিক্যাল সেবাদাতা, বিভিন্ন সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানসহ টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সংশ্লিষ্টরা।

তাদের উদ্বেগের মূল কারণগুলি হল:

  • সংজ্ঞার অস্পষ্টতা: অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সংজ্ঞা স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হয়নি। যেমন, "সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম", "কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা", "ব্যক্তিগত তথ্য" ইত্যাদি।
  • নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি: নতুন আইন ও নীতিমালা প্রযুক্তি ও তথ্যের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
  • জটিলতা বৃদ্ধি: ভ্রাম্যমাণ আদালতের ব্যবহার, জরিমানা বৃদ্ধি ইত্যাদির মাধ্যমে আইন প্রয়োগের জটিলতা বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
  • ব্যবসার উপর বিরূপ প্রভাব: নীতিমালা বাস্তবায়নের ফলে ব্যবসার উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে।
  • তথ্যের অবাধ প্রবাহে বাধা: উপাত্ত সুরক্ষা আইন তথ্যের অবাধ প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

বিশেষজ্ঞরা জনবান্ধব ও উদ্যোক্তাদের জন্য গ্রহণযোগ্য নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা মনে করেন নীতিমালা প্রণয়নের সময় সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত গ্রহণ করা উচিত।

সরকার দাবি করছে যে স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য উপযোগী করেই আইন ও নীতিমালা করা।