মহামায়া ঝর্ণায় অভিজ্ঞতা: এক অপূর্ব ভ্রমণ বর্ণনা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ধারে, মিরসরাইয়ের মনোরম পরিবেশে লুকিয়ে আছে মহামায়া লেক। লেকের তীরে অবস্থিত মহামায়া ঝর্ণা, ঝর্ণার ধারে বয়ে চলা ঝর্ণার জলপ্রপাত, এবং লেকের অপরূপ সৌন্দর্য - এই সব মিলিয়ে মহামায়া ঝর্ণা পর্যটকদের কাছে এক অপূর্ব আকর্ষণ।
যাত্রা শুরু
লেকের গেটে পৌঁছানোর পর আমরা প্রথমে লেকের পাশের পার্কে ঘুরে বেড়ালাম। বন বিভাগ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের নতুন অফিস ও রেস্টহাউস দেখলাম।
পথে
পার্ক থেকে বেরিয়ে পিচঢালা পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে লেকের তীরে পৌঁছে গেলাম। সামনে চোখ জুড়িয়ে গেল লেকের অপরূপ সৌন্দর্য। নীল জলে ভেসে থাকা কায়াকগুলো আমাদের মনে করিয়ে দিল করোনা-পূর্ববর্তী ক্যালিফোর্নিয়ার লেক তাহোতে কায়াক ভ্রমণের স্মৃতি।
ইঞ্জিন বোটে লেক ভ্রমণ
বাচ্চাদের সাথে থাকায় আমরা কায়াকিং না করে ইঞ্জিন বোট ভাড়া করলাম। দুই ঘণ্টার এই ভ্রমণে আমরা পুরো লেক এবং মহামায়া ঝর্ণা ঘুরে দেখলাম।
লেকের দ্বীপ
লেকের ভেতরে ছোট ছোট বেশ কিছু দ্বীপ রয়েছে। এই দ্বীপগুলোতে মাছ ধরার জন্য তাঁবু ফেলে রাত্রিযাপন করা যায়। দুই বেলার খাবারসহ তাঁবুতে রাত্রিযাপনের খরচ জনপ্রতি ৭৫০ টাকা।
মহামায়া ঝর্ণা
লেকের গভীরে এগিয়ে যেতে যেতে আমরা মহামায়া ঝর্ণার কুলকুল শব্দ শুনতে পেলাম। ঝর্ণার কাছে পৌঁছে ঝর্ণার ধারে বয়ে চলা ঝর্ণার জলপ্রপাত দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
অনুভূতি
মহামায়া লেক এবং ঝর্ণার অপরূপ সৌন্দর্য আমাদের মন কেড়ে নিয়েছে। ঢাকার ক্লান্তিকর জীবন থেকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও মুক্তি পেয়ে প্রকৃতির কোলে এসে এই অপূর্ব সৌন্দর্য উপভোগ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫