ইউএনওর ‘অবহেলায়’ নষ্ট হলো দুস্থদের ২২১ বস্তা খাবার!
প্রকাশকালঃ
০৮ এপ্রিল ২০২৩ ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ ১৭৮ বার পঠিত
২০২১-২০২২ অর্থবছরের ‘প্রধানমন্ত্রীর উপহারের’ ২২১ বস্তা ত্রাণসামগ্রী দীর্ঘদিন ধরে বিতরণ না করে বাসায় ফেলে রাখার অভিযোগ উঠেছে বিদায়ি ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্চয় কুমার মহন্তর বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার ধুনট উপজেলার ইউএনও তার শেষ কর্মদিবসে এসব খাবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। সময়মতো দুস্থদের মধ্যে এসব খাবার বিতরণ না করায় খাবারের মেয়াদ শেষ ও যা বর্তমানে খাওয়ার অযোগ্য বলে জানা গেছে।
ধুনট ইউএনওর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৭ মার্চ ইউএনও সঞ্জয় কুমার মহন্তকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় বদলির আদেশ হয়। তিনি দাপ্তরিক দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি বরাদ্দের বিভিন্ন সামগ্রীর দুস্থদের খাবারও বুঝিয়ে দেন। বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে ইউএনওর সরকারি বাসায় মজুত রাখা দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত খাবারের বস্তা ভ্যানে করে উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসায় পৌঁছে দেন। প্রতি বস্তায় রয়েছে ১০ কেজি চাল, দুই কেজি ডাল, দুই কেজি চিড়া, দুই কেজি চিনি, দুই লিটার সয়াবিন তেল, গুড় ও এক প্যাকেট সেমাই। বস্তার গায়ে লেখা আছে ২০২০-২১ অর্থবছরে বরাদ্দকৃত এসব খাবার। ইউএনওর বাসা থেকে খাবারের বস্তাগুলো বের করার সময় তা সংবাদকর্মীদের নজরে আসে। সাড়ে ১৫ কেজি ওজনের বস্তার গায়ে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার, ত্রাণসামগ্রী হিসেবে বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ২০২১-২২ অর্থবছর’ লেখা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, ২০২২ সালের ২৫ জুলাই ৫০০ বস্তা খাবার বরাদ্দ পাওয়া যায়। বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দুস্থ ও অসহায় পরিবারের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে মানবিক সহায়তা হিসেবে এসব খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এলাকায় বন্যা না হওয়ায় খাবারগুলো বিতরণ না করে বাসায় সংরক্ষণ করি। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সময় দুস্থদের মধ্যে ২৩০ বস্তা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট খাবার ঈদের আগে আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের মধ্যে বিতরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু বদলির আদেশ হওয়ায় তা উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করেছি। তবে কয়েকটি বস্তার খাবার নষ্ট হয়ে গেছে।
ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকন জানান, ২২১ বস্তা খাবার বুঝে পেয়েছি। তবে অধিকাংশ বস্তার খাবারই নষ্ট হয়ে গেছে। উপজেলা পরিষদের সভায় এ খাবারগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।