গরমে আরাম হলেও যেসব খাবার অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশকালঃ ১১ মে ২০২৩ ০৩:৩০ অপরাহ্ণ ৯৯ বার পঠিত
গরমে আরাম হলেও যেসব খাবার অস্বাস্থ্যকর

রমে অস্থির প্রাণ। বাইরে বেরোলেই দরদর করে ঘাম হওয়া ছাড়াও শারীরিক অস্বস্তি তো আছেই। এই গরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে এমন কিছু পানীয় ও খাবারের ওপর ভরসা করতে হয়, যেগুলি স্বাস্থ্যকর নয়। কিন্তু সাময়িক ভাবে স্বস্তি দেয় বলে প্রায়ই খাওয়া হয় সেই খাবারগুলি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী সেই খাবারগুলো সম্পর্কে চলুন জেনে নেই: 

কাঠফাটা রোদে লাল, নীল, গোলাপি রঙের বরফগোলা দেখলেই মনটা নেচে ওঠে। ছোট-বড় কেউই এই গরমে গোলা দেখলে উপেক্ষা করতে পারেন না । কিন্তু বরফগোলা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। বরফ খেলে ঠাণ্ডা লেগে গলা-ব্যথা, জ্বর আসার আশঙ্কা তো আছেই। সেই সঙ্গে পেটখারাপও হতে পারে। কারণ গোলায় ব্যবহৃত বরফ সব সময়ে সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করা হয় না। এছাড়া এতে যে রং ব্যবহার করা হয়, সেগুলিও পেটের জন্য ভালো নয়।


গ্রীষ্মের দুপুরে তেষ্টা মেটাতে রাস্তার ধারের লেবু পানিতে চুমুক দেন অনেকেই। টক-মিষ্টি স্বাদের এই পানীয় সাময়িক তৃপ্তি দেয় বটে। কিন্তু এই ধরনের পানীয় খেলে পেটের খারাপের আশঙ্কা থাকে।

গরমে অনেকের বাড়িতেই ফ্রিজ ভর্তি আইসক্রিম থাকে। অফিস থেকে ফিরে হোক কিংবা গ্রীষ্মের ছুটির দুপুরে ভরপেট খেয়ে, আইসক্রিম খেলে স্বস্তি পায় মন এবং শরীর। কিন্তু সেটা সাময়িক। আইসক্রিম ঠাণ্ডা হলেও, আদতে শরীর গরম করে দেয়। গ্রীষ্মে শরীর এমনিতেই তেতে থাকে। তার উপর আরও বেশি গরম হয়ে গেলে মুশকিল হতে পারে।


তরমুজ, পেঁপে, আনারস, আঙুর, পেয়ারা- গ্রীষ্ম বলে নয়, সারা বছর রাস্তার ধারে ঠেলাগাড়িতে কাটা ফল বিক্রি হতে দেখা যায়। অনেকেই এই ফল খান। ফল খাওয়া নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। কিন্তু তাই বলে রাস্তার ধারের দোকান থেকে কাটা ফল কিনে না খাওয়াই ভাল। রাস্তার যাবতীয় ধুলোবালি ফলের গায়ে লাগে। ডায়রিয়া, পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে যার ফলে। তা ছাড়া দীর্ঘ ক্ষণ আগে কেটে রাখা ফল খাওয়ার কোনও উপকারিতা নেই। এতে ফলের গুণমান তাতে নষ্ট হয়ে যায়।

কৈশোরে স্কুলের টিফিনের ঘণ্টা পড়তেই পেপসির গাড়ির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ত সবাই। ভিড় ঠেলে পছন্দের স্বাদের পেপসি কিনতে পারলেই মুখে ফুটে উঠত বিজয়ীর হাসি। এই দৃশ্য এখন আর অবশ্য তেমন দেখা যায় না। কিন্তু তা-ও গরম পড়লে অনেকেই পেপসির খোঁজ করেন। পেপসি খেলে ছোটবেলাটা ফিরে পাওয়া যায় ঠিকই। কিন্তু শরীরের উপর এর খারাপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কাও থেকে যায়। যে রং দিয়ে পেপসি বানানো হয়, সেগুলির মধ্যে রাসায়নিক মিশ্রিত থাকে। ডায়রিয়া, পেটের গোলমাল হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।