প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আশার আলো দেখা দিয়েছে। তাদের দীর্ঘদিনের বেতন বৈষম্য দূর করতে এক ধাপ উন্নীত গ্রেড প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আদালতের রায় এবং ‘প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গঠিত পরামর্শক কমিটি’র সুপারিশের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে, সহকারী শিক্ষকরা ১২তম গ্রেডে এবং প্রধান শিক্ষকরা ১০ম গ্রেডে বেতন পাবেন। এটি বাস্তবায়ন হলে প্রাথমিক শিক্ষকদের বহুদিনের দাবির বাস্তব প্রতিফলন ঘটবে।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমদের নেতৃত্বে গঠিত পরামর্শক কমিটি প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে মন্ত্রণালয়ের কাছে জমা দেওয়া ওই প্রতিবেদনে শিক্ষক পদে পদোন্নতি এবং বেতন কাঠামোর উন্নয়নের প্রস্তাব ছিল।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধান ও সহকারী শিক্ষকদের উন্নীত গ্রেডে অন্তর্ভুক্ত করা এবং বেতন স্কেল উন্নয়নের জন্য প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছে অধিদপ্তরকে। এ বিষয়ে সম্প্রতি একটি অফিসিয়াল চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
কমিটির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব হলো, ‘সহকারী শিক্ষক’ পদ বিলুপ্ত করে নতুন শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রারম্ভিক পদ ‘শিক্ষক’ হিসেবে নির্ধারণ করা। এতে শিক্ষকরা ১২তম গ্রেডে শুরু করবেন এবং দুই বছর পর চাকরি স্থায়ীকরণের পর আরও দুই বছর পরে হবেন ‘সিনিয়র শিক্ষক’, যাদের বেতন গ্রেড হবে ১১তম।
এ ছাড়া, প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১০ম গ্রেড নির্ধারণের সুপারিশ করেছে কমিটি।