মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে অফিস সহকারীকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ

ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে পারিবারিক বিরোধের জেরে অফিস সহকারীকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গত বুধবার উপজেলার চিলমারী সিনিয়র আলিম মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। অফিস সহকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অফিস সহকারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন বলে আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
চিলমারী সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার বিভিন্ন শিক্ষক ও স্থানীয় লোকজন জানান, মাদ্রাসায় গত বুধবার বেলা ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে শরীরচর্চার শিক্ষক হাসিবুল হাসান অফিস সহকারী মো. আনোয়ারুল ইসলাম জুয়েলকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে জখম করেন। এরপর আনোয়ারুল ইসলাম জুয়েলকে উদ্ধার করে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখানে গিয়েও হাসিবুল হাসান ও হামিদুর ইসলাম তাঁকে কিলঘুষি মারতে থাকেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তাঁরা পালিয়ে যান।
উন্নত চিকিৎসার জন্য আনোয়ারুল ইসলাম জুয়েলকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন। হাসিবুল হাসান ও হামিদুর ইসলামের সঙ্গে আনোয়ারুল ইসলাম জুয়েলের আত্মীয়তা রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
মো. আনোয়ারুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ‘অফিসের কাজ শেষ করে মাদ্রাসার বারান্দায় বসে ছিলাম। এ সময় পারিবারিক বিরোধের জেরে আমার আত্মীয় থানাহাট বাজারের ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান মোবাইল ফোনে আমাকে মেরে ফেলার জন্য হুমকি দেন এবং বাড়িতে গিয়ে আমার স্ত্রীকে তাঁর ছোট ভাই হামিদুর ইসলাম হুমকি ও ভয়ভীতি দেখান। এরপর তাঁর আরেক ছোট ভাই শিক্ষক হাসিবুল হাসান আমাকে মাদ্রাসার বারান্দা থেকে নিচে ফেলে আমাকে মারধর করতে থাকেন। আমি ওই শিক্ষক ও তাঁর ভাইদের শাস্তি দাবি করছি।’
এ বিষয়ে জানতে শিক্ষক মো. হাসিবুল হাসানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি মারধরের কথা অস্বীকার করেন। হামিদুর ইসলাম বলেন, ‘আনোয়ারুল ইসলাম জুয়েলকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম। মারামারির কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাঁর স্ত্রীকে আমি হুমকি দিইনি।’ আর থানাহাট বাজারের ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
এ বিষয়ে চিলমারী সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নাজমুল হক বলেন, ‘মারামারির ঘটনাটি আমি জানি না। তবে শুনেছি অফিস সহকারী হঠাৎ নাকি অসুস্থ হয়েছেন।’
চিলমারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজামেল হক বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫