বাংলাদেশের চন্দ্রযান বান্দরবানে চলে

প্রকাশকালঃ ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:৫৬ অপরাহ্ণ ৩০৭ বার পঠিত
বাংলাদেশের চন্দ্রযান বান্দরবানে চলে

ভারতীয়রা যখন চন্দ্র জয়ের উল্লাসে মাতোয়ারা, সেই মূহুর্তে বাংলাদেশ মহাকাশ গবেশনা সংস্থানের প্রধানের চেয়ারে বসে আছেন একজন কৃষিবিদ। জি আপনি ঠিকি শুনেছেন! যেই ব্যক্তি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে

পড়াশোনা করেছেন, যার কাজ হচ্ছে আলু অ মুলা নিয়ে গবেষনা করা। তাকে আলুর ক্ষেত থেকে সোজা মহাকাশ গবেষণা সংস্থার চেয়ারে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার অধিনে খুব সম্ভবত চাঁদের মাটিতে আলু আর 

মঙ্গলের মাটিতে মুলা চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষনা সংস্থান। এখানে লক্ষণীয় আরেকটি বিষয় আছে, ভারতের পুরো এই চন্দ্রা অভিযানে সর্ব সাকূল্যে খরচ হয়েছে ৬১৫ কোটি রুপি বাংলাদেশী মাত্র ৮০০ কোটি টাকা।


অথচ ঢাকার দুই সিটি কর্পরেশনে শুধু মাত্র মশা মারতে ব্যয় হয় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ যেই টাকায় ভারত চাঁদে চলে গেছে, তাঁর দ্বিগুণ টাকা আমরা শুধু মশা মারতে খরচ করি।

তবুও যদি ঢাকার মশাগুলো মরতো টাহোলে ডেঙ্গুতে অতিষ্ঠ জনগন একটু হলেও শান্তি পেত। মশা বাদ দিয়ে মহাকাশ সংকান্ত অন্য হিসেবে দেখা যায় চাঁদে নয় শুধুমাত্র পৃথিবীর উপরস্থ অরবিটাল স্পেসে ২০১৮ সালে একটি স্যাটেলাইট

পাঠায় বাংলাদেশ যার নাম বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। যেখানে ভারত চাঁদে পাঠাতে খরচ করেছে মাত্র ৮০০ কোটি টাকা, সেখানে শুধু পৃথিবীর উপর বরাবর স্যাটেলাইট পাঠাতে বাংলাদেশ খরচ করেছে ২ হাজার কোটি টাকা। এতে লাভ তো


দূরের কথা যেই টাকা বিনিয়োগ হয়েছিলো তার সামান্য অংশও তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু-২ নামে আর একটি স্যাটেলাইট উক্ষেপনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

জনগনের টাকা নিয়ে তামাশার এমন নজীর পৃথিবীর আর কোথাও নেই। অনেকেই উপহাস করে বলছেন ভারতের অনেক আগেই বাংলাদেশ চন্দ্রযান তৈরি করেছে এটা রাঙামাটি, বান্দরবান অঞ্চলে চান্দের গাড়ি নামে পরিচিত।


চাঁদের মাটিতে এগুলো কিভাবে চলবে? পাহাড়ের উঁচু নিচু পথে মূলত সেটারি অনুশীলন চলছে। হাস্যকর হলেও সত্য দেশের মহাকাশ সংস্থা একজন কৃষিবিদের অধিনে পরিচালিত হয়, সেই দেশের চান্দের গাড়ি এমন হওয়াই স্বাভাবিক।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে আসলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চর্চার কোন পরিবেশই তৈরি হয়নি। এদেশের পাড়া, মহলায়, অলিগলিতে সভাপতি আর সহ-সভাপতিদের বড় উৎপাত। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান গুলোতে পড়ালেখার চাইতে অপরাজনীতির চর্চাই বেশি।


বাধ্যতামূলক ভাবে অংশ নিতে হয় খমতাশীল দলের মিটিং মিছিলে। যার ফলে শারা দেশ থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীরা এসব প্রতিষ্ঠানে আসলেও নিজেদের মেধার বিকাশ তারা ঘটাতে পারে না। নোংরা ছাত্র রাজনীতি, ছাত্র অবস্থাতেই চাঁদাবাজী, ট্রেন্ডারবাজীর 

হাতে খড়ি, ক্যাম্পাসে অস্ত্রের মহরা, প্রশ্ন ফাঁস, ডক্টরেটের গবেষনা চুরি, ধর্ষণের সেঞ্চুরি এগুলোই করে চলছে বাংলাদেশের শীর্ষ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান গুলো। এর বাইরে এদেশের শাহাবাগ কেন্দ্রীক কিছু লোক

নিজেদের বিজ্ঞান মনষক দাবি করেন কিন্তু তারা চাঁদে যাওয়া তো দূরের কথা পৃথিবীতে মানুষের কাজে আসার মত কোন যন্ত্রপাতিও তারা আবিষ্কার করতে পারেননি। ভুতুম পেঁচা আর আজগবি


পুতুল বানিয়ে মঙ্গল শোভা যাত্রা পর্যন্তই তাদের বিজ্ঞানের দৌড়। এর বাইরে প্রান্তিক পর্যায়ে যেসব মেধাবী যুবক কোন কিছু আবিষ্কার করে ফেললে তাদের মূল্যায়ন এবং পৃষ্ট পোষকতার তেমন কোন উদ্যোগ

চোখে পড়ে না। অন্যথায় সরকারি পৃষ্ঠ পোষকতা পেলে এই দেশেরই বহু যুবক বহু কিছু আবিষ্কার করে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করতে পারত। সব মিলিয়ে যত দিন পর্যন্ত দেশে দুর্নীতি বন্ধ না হবে, কৃষিবিদকে কৃষির জায়গায় এবং বিজ্ঞানকে বিজ্ঞানের জায়গায়

বসানো না হবে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চর্চার আদর্শ পরিবেশ তৈরি না হবে, ততদিন পর্যন্ত চান্দের গাড়ি বান্দারবানেই চলবে। চাঁদের বুকে চলার আর সৌভাগ্য হবে না।