আয়োজন করতে চায় চট্টগ্রামে ফিফার ম্যাচ বাফুফে

প্রকাশকালঃ ২৩ জুলাই ২০২৩ ০৫:২৫ অপরাহ্ণ ১৫৯ বার পঠিত
আয়োজন করতে চায় চট্টগ্রামে ফিফার ম্যাচ বাফুফে

শিয়ান কাপ ফুটবল এবং বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রথম ও দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলার ড্র এএফসিতে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৭ জুলাই। জানা হয়ে যাবে এশিয়ার কোন দেশে কখন কার বিপক্ষে খেলবে। প্রথম রাউন্ডের খেলা ১২ ও ১৭ অক্টোবর। খেলা হবে হোম এন্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে। বাংলাদেশ বিদেশে গিয়ে এক ম্যাচ খেললে হোম ম্যাচ খেলতে হবে নিজ দেশে। 

তবে প্রশ্নটা জেগেছে এখানেই। ঘরের মাঠ হিসেবে বাংলাদেশ কোন মাঠে খেলবে? কোথায় খেলবে সেই মাঠ নেই। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) জানিয়েছে আগামী বছর জুনের আগে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম প্রস্তুত করা সম্ভব হচ্ছে না। 

এনএসসির সচিব পরিমল সিংহ জানিয়েছেন তারা যতদ্রুত সম্ভব করার চেষ্টা করবেন। কিন্তু সব কাজ বলার সঙ্গে সঙ্গেই হয়ে যায় না। তিনি বলেন,‘বিশ্বকাপ এবং এশিয়ান কাপের গুরুত্বপূর্ণ খেলা যদি হয় তাহলে ভিন্ন কোনো মাঠে আয়োজন করতে হবে।’ কিন্তু ভিন্ন মাঠ হলেই তো হবে না। ফিফার কিছু নিময়-কানুন রয়েছে। সেগুলোর সঙ্গে চাহিদা না মিললে সেই স্টেডিয়ামে খেলা আয়োজনের অনুমতি দেয় না ফিফা। এশিয়ান কাপ এবং বিশ্বকাপের বাছাই ম্যাচ গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছেন এনএসসির সচিব পরিমল সিংহ।


তিনি একটা পথ বের করে বলেছেন,‘বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম যেহেতু হচ্ছে না তাহলে বাফুফে অন্য কোনো মাঠে যদি খেলা আয়োজন করতে চায় তাহলে সেটি তারা করে দেবে। পরিমল সিংহ বলেছেন, ‘আগে দেখতে হবে ফিফার খেলা আয়োজন করতে কি ধরনের শর্ত দেয়। কোন নিয়মগুলো মানতেই হবে। আমরা দেখব সেই স্টেডিয়ামটিকে কতোটা উন্নতি করতে পারি। সবকিছু বিবেচনা করা খেলার উপযোগী করে দিতে পারি।’ 

এনএসসির সজিব পরিমল সিংহের কথাগুলো বাফুফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনের কাছে তোলা হলে তিনি চট্টগ্রামে খেলতে চান। চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম চাইছেন। বলেছেন,‘চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামটি যদি প্রস্তুত করে দেওয়া হয় তাহলে সুবিধা হবে। কারণ এই মাঠের কথা ফিফার জানা আছে। এই শহরে সবরকম সুযোগ সুবিধা রয়েছে। বিমানে যাওয়া-আসা করতেও সুবিধা। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আগেও হয়েছে চট্টগ্রামে। এমএ আজিজ স্টেডিয়ামকে যদি প্রস্তুত করে দেওয়া হয় তাহলে খুবই ভালো।’

সিলেট স্টেডিয়ামের কথা বলেছিলেন পরিমল সিংহ। কিন্তু বাফুফে সিলেটে স্টেডিয়ামের প্রতি অনাগ্রহ। খেলোয়াড়রা নাকি বলেছেন এইমাঠে যতই ভালো খেলি রেজাল্ট হাতছাড়া হয়ে যায়। খেলোয়াড়দের মনে একটা কুসংস্কার কাজ করে।


চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের প্রতি বাফুফের আগ্রহের কথা শুনে পরিমল সিংহ বলেন, ‘আমি আমাদের সংশ্লিষ্ট বিভাগে কথা বলব। খোঁজ নেব। কী অবস্থায় রয়েছে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম। আমাদের পক্ষে যতটুকু উন্নতি করা যায়, যত দ্রুত সময়ের মধ্যে করা যায় আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব। আমরাও চাই ফুটবল তার গতিতে এগিয়ে যাক।’

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ শেষ না হলেও মাঠের কাজ শেষ। ড্রেসিং রুমের কাজও শেষ। পরিমল সিংহ বলেছেন,‘বাফুফে চাইলে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে খেলতে পারে। আমি আগেই বলে নিচ্ছি এই স্টেডিয়াম প্রস্তুত না। যদি তাদের খুব দ্রুতই প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা মাঠ প্রস্তুত করে দিতে পারব। ড্রেসিং রুম প্রস্তুত। তারা ব্যবহার করতে সমস্যা নেই। তবে গ্যালারি দেওয়া যাবে না। প্রেসবক্স দেওয়া যাবে না। প্রেসবক্সে চেয়ার দিয়ে কোনো সাংবাদিক যদি খেলা কাভার করতে চায় সেটাও করে দেওয়া সম্ভব। অন্যান্য কিছু সুযোগ সুবিধা চাইলে সেটিও আলোচনা করে প্রস্তুত করা যেতে পারে। আমরাও চাই খেলা হোক। যেখানে একটা স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজ চলছে সেখানে কিছু নিয়ম-কানুন মানতেই হবে। এখানে কোনো রকম ঝুঁকি নেওয়া যাবে না।’

পরিমল সিংহ জানিয়েছেন এনএসসির চেয়ারম্যান স্যারের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা বাফুফে এবং অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সঙ্গে কথা বলব। কারণ অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক স্থাপনের কাজ শেষ। এখন মার্কিংয়ের কাজ হলে তারাও খেলতে পারবে। একটা কথা আবার বলছি সংস্কার কাজ এখনও শেষ হয়নি।’