ঢাকা প্রেস নিউজ
কোটা সংস্কার আন্দোলনে রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ডে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
রোববার রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (তাজহাট) নিহতের বড় ভাই রমজান আলী এই মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি হলেন পুলিশের একজন এএসআই আমির আলী। এছাড়াও, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়সহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে।
কী ঘটেছিল?
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ কোটা সংস্কার আন্দোলনের একজন অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন। গত ১৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের একপর্যায়ে পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন। আবু সাঈদ রংপুরের পীরগঞ্জের মদনখালী ইউনিয়নের বাবনপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আবু সাঈদ কে ছিলেন?
কোটা সংস্কার আন্দোলনে আবু সাঈদ সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর হঠাৎ চলে যাওয়ায় আন্দোলনকারীরা গভীর শোকাহত হয়ে পড়েন।
এই মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার সত্যতা খুঁজতে কাজ করছে। আশা করা হচ্ছে, আদালতের বিচারের মাধ্যমে নিহতের পরিবার ন্যায় বিচার পাবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না।
এই ঘটনা শুধু একটি পরিবারের জন্যই নয়, সমগ্র দেশের জন্যই শোকাবহ। কোনো আন্দোলনকে সহিংসতায় পরিণত করা উচিত নয়। সকলকেই শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের দাবি আদায়ের চেষ্টা করতে হবে।