যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি ঘোষণা, ভোট চুরির পরিকল্পনা বুঝতে পেরে সরকারের
প্রকাশকালঃ
০১ জুন ২০২৩ ১২:৫৪ অপরাহ্ণ ১৪২ বার পঠিত
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আরেকটি ভোট চুরির পরিকল্পনা বুঝতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি ঘোষণা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা। বুধবার (৩১ মে) গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে 'সুষ্ঠু নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি ও বাংলাদেশের সংকট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এই মন্তব্য করেন।
এই আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসানীতি আওয়ামী লীগের জন্য বজ্রপাতের মতো ঘটনা। দেশের জন্য অপমানকর, লজ্জার এই ভিসানীতি নিয়েও আওয়ামী লীগের নেতারা হাসি-ঠাট্টা করছেন।
সরকার ভোট চুরির প্রকল্প নিয়েছে দাবি করে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সরকার ভোট চুরি করবে বুঝতে পেরেই সাত মাস আগে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভোট চুরি শুধু ভোটের দিন হয় না। গুলি করে বিরোধী নেতা-কর্মীদের হত্যা, মিথ্যা মামলা দায়ের, বিরোধী নেতা-কর্মীদের জামিন না দেওয়া—এগুলোও ভোট চুরির অংশ। সরকার বলবে তার অধীনে নির্বাচনে যেতে—সেটা আর হবে না।
সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত মোফাজ্জল করিম বলেন, দুই বড় রাজনৈতিক দলের বাইরে আরেকটা দল আছে, ‘নীরব দল’। তারা দেখে, শোনে, বুঝে কিন্তু কিছু বলে না। দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ রাজনৈতিক নেতাদের কারণে কষ্টে আছে। দেশের ২ থেকে ৩ শতাংশের বেশি মানুষের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসানীতি প্রভাব ফেলবে না।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, সরকারের আর গলাবাজি করতে হবে না। সারা বিশ্বের মানুষ জেনে গেছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, সরকার নানাভাবে বিরোধীদের আন্দোলনে উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করছে। বিরোধীরা সংঘাত চায় না। সরকারের সামনে সহজ রাস্তা। পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি দেশের মানুষের জন্য লজ্জার মন্তব্য করে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, বর্তমান সরকার এই লজ্জা বয়ে এনেছে। এই ভিসানীতি সবার জন্যই হুমকির। কার কার ওপর এই ভিসানীতি প্রয়োগ হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলা আছে। দেশের বিচার বিভাগকে এই নীতির আওতায় আনা প্রমাণ করে দেশে আইনের শাসন নেই।
সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ না পাওয়া ছিল সতর্কবার্তা। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা একটি বলিষ্ঠ অস্ত্র হতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক রুহুল আমিন বলেন, রোম শহর যখন পুড়ছিল, একজন বাঁশি বাজাচ্ছিল। আমাদের দেশের বড় দুই দলের একই অবস্থা। ভিসানীতির দায় একে অপরের অপর চাপাচ্ছে। এই ভিসানীতি গণতন্ত্রের জন্য ভালো কথা না। কাদা–ছোড়াছুড়ি না করে বর্তমান সমস্যার সমাধানে আলোচনায় বসতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকারিয়া পলাশের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান, সাদ্দাম হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা প্রমুখ।