পুলিশ কর্মকর্তা হত্যায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ৪ জনের

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:-
ঝিনাইদহের ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের সাবেক ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মিরাজুল ইসলাম হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় সাতজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাহাবুব আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন:
-
রাজবাড়ীর নিমতলার আমজাদ হোসেন
-
লিয়াকত হোসেন
-
দক্ষিণ দৌলতদিয়া গ্রামের আক্কাস আলী
-
ফরিদপুরের ভাটি লক্ষ্মীপুর গ্রামের আলম শেখ
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন:
-
ফরিদপুরের শোভারামপুরের শাহীন
-
গোয়ালচামটের মোহাম্মদ সাগর
-
টাপাখোলার নুরু খা
-
যশোরের শেখহাটি খা পাড়ার মনির হোসেন
আসামিদের মধ্যে শুধু আমজাদ হোসেন কারাগারে আছেন, বাকিরা পলাতক বলে জানা গেছে।
ঘটনার পেছনের প্রেক্ষাপট:
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট রাতে ঝিনাইদহ জেলা শহরের বাস মালিক সমিতি অফিসের সামনে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে আরোহীরা পালিয়ে যায়। পরে দেখা যায়, দুর্ঘটনায় পড়া মোটরসাইকেলটি এসআই মিরাজুল ইসলামের। তখন তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পরদিন সকালে ভেটেরিনারি কলেজের পাশে একটি ডোবা থেকে তার হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিনই সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মিরাজুল ইসলামের কাছে থাকা সরকারি পিস্তল, গুলি ও মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করে থাকতে পারে। তদন্ত শেষে ২০১২ সালের জানুয়ারিতে পুলিশ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
ঝিনাইদহ কোর্ট ইন্সপেক্টর মোক্তার হোসেন জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আমজাদ হোসেনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫