|
প্রিন্টের সময়কালঃ ১২ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ২৯ মে ২০২৩ ১২:২৫ অপরাহ্ণ

হুমায়ুন ফরিদীর বন্ধুত্বের গল্প


হুমায়ুন ফরিদীর বন্ধুত্বের গল্প


ফজাল হোসেন ও হুমায়ুন ফরিদীর বন্ধুত্বের এক দারুণ রসায়ন প্রচলিত। মূলত এই বন্ধুত্বের সূত্রেই ফরিদীর অভিনয়ে আসা। সেটিও আফজাল হোসেনের অনুরোধেই। কিন্তু অভিনয় জগতের এই দুই মহাপুরুষ তাদের অসাধারণ কর্মের কারণেই শ্রেষ্ঠ। হুমায়ুন ফরিদী আজ নেই।

হুমায়ুন ফরিদীকে আপনিই অভিনয়ে নিয়ে এসেছিলেন,‘ এমন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতেই আফজাল হোসেন বলেন, না ফরিদী নিজ যোগ্যতাই আজকে হুমায়ুন ফরিদী হয়েছে। তাই এভাবে বলাটা ঠিক না।


এক আড্ডায় বন্ধুত্বের গল্পে হুমায়ূন ফরিদীর সাথে শেষ দেখা কবে হয়, এমন প্রশ্নে আফজাল হোসেন বলেন, ‘হাসপাতালে দেখা হয়েছিল। দেখা করতে গিয়েছিলাম আমি ও আমার স্ত্রী। তো বন্ধুসূলভ ভাবেই তাজিন (মিসেস আফজাল হোসেন) কে দেখে বলেছিলো- আবার ওকে নিয়ে এলি কেন? ওর সামনে তো অনেক কথা বলতে পারবো না... হাহাহাহ।  বেশ কিছুটা সময় কাটালাম আমরা। ফরিদী বরাবরই স্বভাবরসিক। কিন্তু শরীরের ঐ অবসাদ বা অসুখের এই ক্লান্তি নিয়ে কারো করুণা শুনতে চাইতো না সে। তো আমাদের গল্পের এক পর্যায়ে  আমাদের উঠতে হবে... ওঠার সময় ও আমাকে বললো- আচ্ছা এরপরের বার যখন আসবি তখন নেইলকাটার নিয়ে আসিস তো?

আমি , ‘আচ্ছা, ঠিক আছে।’ বলে বেরিয়ে এলাম। ফিরতে ফিরতে ভাবলাম। নেইলকাটার’টা আসলে ওর প্রয়োজন নেই। কিন্তু আবারও দেখা হবার বাসনাটা ওর প্রচুর। সেকারণেই বলেছে নেইলকাটার নিয়ে আসিস। একসাথে দেখা হওয়া বা খানিকক্ষণ বসে গল্প করার আকুলতাতেই ও আমাকে বললো। এরপর আর নেইলকাটার নিয়ে যাবার সুযোগ দেয়নি সে। তার আগেই সবাইকে ছেড়ে চলে গেল।’


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫