সোমবার ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব তথ্য জানান।
ফাওজুল কবির খান বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের একটি নির্দিষ্ট টিম এ বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করবে। কোথাও নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় লোডশেডিং করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য পরিশোধে সরকারকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে, বিশেষ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হয়ে যাওয়ার কারণে। এর মাঝেও রমজানে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা জানান, শীতকালে বিদ্যুতের চাহিদা যেখানে ৯ হাজার মেগাওয়াট, সেখানে গ্রীষ্মে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৭-১৮ হাজার মেগাওয়াট। এই চাহিদা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হলো সেচ ও এসির ব্যবহার। যেহেতু সেচ খাদ্য উৎপাদনের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট, তাই সেটিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তবে এসির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা গেলে কয়েক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব।
তিনি আরও জানান, ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টাকে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে তিনি দেশের প্রতিটি মসজিদে তারাবির সময় এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রিতে রাখার নির্দেশ দেন। সচিবালয়সহ সরকারি-বেসরকারি অফিসেও এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিদ্যুৎ বিভাগের পর্যবেক্ষক দল নির্দেশনার কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে কাজ করবে এবং প্রয়োজনে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এতে শহর বা গ্রামভেদে কোনো পার্থক্য করা হবে না। ঘোষণার মাধ্যমেই লোডশেডিং কার্যকর করা হবে।