|
প্রিন্টের সময়কালঃ ০৮ জুন ২০২৫ ১২:০৯ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ০১:১১ অপরাহ্ণ

পোশাক রপ্তানিকারকদের ফাঁদে ফেলে বিদেশি ক্রেতাদের প্রতারণা


পোশাক রপ্তানিকারকদের ফাঁদে ফেলে বিদেশি ক্রেতাদের প্রতারণা


তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের ফাঁদে ফেলে অযৌক্তিকভাবে ডিসকাউন্ট আদায় করছে অনেক বিদেশি ক্রেতা।

আবার অনেক ক্রেতা পণ্য নিয়ে মূল্য পরিশোধ করছে না। কারখানাগুলোর কাছে এমন প্রতারক চক্রের তালিকা চেয়েছে শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। চিহ্নিত প্রতারকদের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।

পণ্য সময় মতো না পৌঁছালে অথবা কোনো ত্রুটি থাকলে দামে ছাড় দিতে বাধ্য করে ক্রেতারা। তাদের এমন দাবি মেনে নিতে হয় রপ্তানিকারকদের। পাঁচ শতাংশ ডিসকাউন্ট স্বাভাবিকভাবে অনুমোদন করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তবে অনেক ক্রেতা ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার ও বায়িং হাউসের সঙ্গে যোগসাজশে ফাঁদে ফেলে উদ্যোক্তাকে। পণ্য খালাসের পর স্বেচ্ছায় দেউলিয়া হতে আদালতে যায় তারা। আবার কেউ শেষ মুহুর্তে ক্রয়াদেশ বাতিলের ভয় দেখায়। উদ্যোক্তারা জানান, এভাবে কোনো কোনো ক্রেতা ৪০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় আদায় করেছেন।

অনেক উদ্যোক্তা ভুয়া ক্রেতার খপ্পরেও পড়েন। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক ব্যক্তির প্রতারণার শিকার হয়েছে আটটি কারখানা। শত কোটি টাকার ক্রয়াদেশ দিয়ে মূল্য পরিশোধ করছে না। পোশাক খাতে প্রায়ই হয় এমন প্রতারণা।

বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল জানান, বিদেশি প্রতারকদের সহযোগিতায় দেশেও কিছু এজেন্ট রয়েছে। এভাবেই প্রতারক চক্র তৈরি করে অসৎ উপায় অবলম্বন করে এরা টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রকৃত অর্থে এরা কোনো ক্রেতা নয়।

অর্থ না পেলে বেতন-ভাতা পরিশোধে সমস্যায় পড়ে কারখানাগুলো। ব্যাংক ঋণ পরিশোধও কঠিন হয়। আবার রপ্তানির অর্থ ফেরত না এলে অর্থপাচারসহ নানা আইনি জটিলতায় তৈরি হয়। নেতারা জানান, প্রতারকদের তথ্য নিজেদের মধ্যে বিনিময় করার পাশাপাশি ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবহিত করা হবে।

বিজিএমইএ পরিচালক আব্দুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, 'ডিসকাউন্ট যদি যৌক্তিক হয়, সে ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের সম্মতি থাকা জরুরি। আর যদি অযৌক্তিকভাবে কোনো ক্রেতা ডিসকাউন্ট চায় বা কোনো উদ্যোক্তা দিতে চায়, আমরা তাদেরকে ওয়ার্নিং দেব। কাজ না হলে সরকারকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। 

উদ্যোক্তাদের আশঙ্কা, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, মার্কিন শ্রম নীতিসহ নানা কারণে আগামী দিনগুলোতে ডিসকাউন্ট চাওয়ার প্রবণতা বাড়তে পারে। 


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫