ঢাকা প্রেস-নিউজ ডেস্ক:-
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নিখোঁজের পর হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা আবারো পেছানো হয়েছে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিন ছিল। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম. এ আজহারুল ইসলাম নতুন দিন হিসেবে আগামী ২৭ মে ধার্য করেছেন।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। তারা হলেন— সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া, সিলিস্তি রহমান, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু, মোস্তাফিজুর রহমান এবং ফয়সাল আলী। তাদের মধ্যে মিন্টু ছাড়া বাকি সবাই আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে সবাই কারাগারে রয়েছেন।
২০২৪ সালের ৯ মে আনোয়ারুল আজীম ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর সংসদ ভবনের বাসা থেকে ঝিনাইদহের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এরপর ১১ মে তার মেয়ের সঙ্গে ভিডিও কলে কিছুটা অসংলগ্নভাবে কথা বলেন এবং পরে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ১৩ মে হোয়াটসঅ্যাপে তার ভারতীয় নম্বর থেকে একটি বার্তা আসে— তিনি নাকি দিল্লিতে যাচ্ছেন এবং তার সঙ্গে ভিআইপি রয়েছেন, তাই ফোন না দিতে অনুরোধ করেন।
১৮ মে পশ্চিমবঙ্গের বরাহনগর থানায় তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। পরে ২২ মে খবর ছড়ায় যে, কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনসের একটি ফ্ল্যাটে তাকে খুন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে রক্তের দাগ পাওয়া গেলেও মরদেহ মেলেনি।
ওইদিনই ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন হত্যা মামলা দায়ের করেন।