ভোমরায় লাগেজ বাণিজ্যে চাঁদাবাজচক্রের লক্ষ টাকার মিশন 

প্রকাশকালঃ ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:১৪ পূর্বাহ্ণ ০ বার পঠিত
ভোমরায় লাগেজ বাণিজ্যে চাঁদাবাজচক্রের লক্ষ টাকার মিশন 

ঢাকা প্রেস

আবু জাফর,সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ-

 

পরিবর্তিত সরকারের সময়ে ভোমরা স্থল সীমান্ত বন্দরে চাঁদাবাজির লক্ষ টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে কথিত চাঁদাবাজচক্র। স্থল সীমান্তের বৈধ পথে নির্বিঘ্নে চলছে লাগেজ ব্যবসার ওপর অবৈধ চাঁদাবাজি।

 

চাঁদাবাদচক্রের দালালরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছুটা নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়ে গড়ে তুলছে অবাক-চালাদা বাণিজ্যের স্বর্গ। লাগামিন চাঁদাবাজির দৌরাত্ম চললেও জগন্নাথ ঠুটোর ভূমিকায় স্থানীয় প্রশাসন। চাঁদাবাজির অর্থে অংশীদারিত্ব থাকার কারণে মাথাব্যথা নেই তাদের।

 

এমন অভিযোগ উঠে আসছে, প্রত্যক্ষদর্শীদের নিকট থেকে। চাঁদাবাজচক্রের কালো থাবায় আক্রান্ত হচ্ছে নিরীহ সাধারণ পাসপোর্ট যাত্রীরা। অপরদিকে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যাচ্ছে মূল ভারতীয় লাগেজ চোরাচালানীরা। এ বন্দর সীমান্ত দিয়ে সাধারণ পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত কমে গেলেও বাংলাদেশে প্রবেশ করতে থেমে নেই ভারতীয় লাগেজ চোরাচালানীদের। অভিযোগ উঠেছে, ভোমরা কাস্টমস যাত্রী সেবা ও ব্যাগেজ চেকপোস্ট অফিসের কর্মরত কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে রয়েছে স্থানীয় চাঁদাবাজচক্রের যোগসূত্র। লাগেজ পণ্য চুরি এবং ট্যাক্স ফাঁকির অর্থ ভাগাভাগিতে চাঁদাবাজচক্রের সঙ্গে রয়েছে ব্যাগেজ অফিসের কর্তাদের গোপন চুক্তি।

 

চুক্তি অনুযায়ী চাঁদা বাণিজ্যের টাকা বন্টন হয়। সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবারে। স্থানীয় চাঁদাবারচক্রের মাথাপিছু পঁচিশ টাকা হারে চাদা দিতে হয় ভারতীয় লাগেজ চোরাচালানি মুল মালিকদেরকে। কাস্টমস ও অন্যান্য প্রশাসন ম্যানেজ করার পূর্বচুক্তি অনুযায়ী আদায় করা হয় নির্ধারিত চাদার টাকা। এ ব্যাপারে ভোমরা কাস্টমস যাত্রিসেবা ও ব্যাগেজ চেকপোস্ট অফিসের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, আমরা ট্যাক্স বিহীন কোন লাগেজ পণ্য ছাড় দিই না। তিনি বিষয়টি সুকৌশলে এড়িয়ে বলেন লাগেজ পণ্য চুরি হলে ধরিয়ে দিন। আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব। 

 

এদিকে ভারতীয় লাগেজ ব্যবসায়ীদের চুরি করে পণ্য পাচার ঠেকাতে যাত্রী সেবা অফিস থেকে আইসিপি চেকিং পয়েন্ট পর্যন্ত রাস্তার দক্ষিণ পার্শ্ব বরাবর দেওয়া হয়েছে সিমেন্টের খুটিতে তার দিয়ে পেঁচানো বেষ্টনী। উভয় দেশের পাসপোর্ট যাত্রীদের এই বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে যাতায়াতের জন্য নেওয়া হচ্ছে এ নতুন পদক্ষেপ। লাগেজ পণ্য ও ভ্রমন কর চুরি ঠেকাতে আইসিপি চেকিং পয়েন্টে বসানো হয়েছে কাস্টমসের দায়িত্বশীল পর্যবেক্ষক। এছাড়া আইসিপি চেকিং পয়েন্টের আশেপাশে রয়েছে অন্যান্য প্রশাসনের অবস্থান। 

 

এরপরও প্রশাসনের নজরদারি এড়িয়ে ট্যাক্স ফাখির উদ্দেশ্যে চুরি করে পাচার হচ্ছে লাগেজ পণ্য। ফলে পূরণ হচ্ছে ব্যক্তিস্বার্থ, ধ্বংস হচ্ছে সরকারের রাজস্ব। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘদিনের চাঁদাবাজির আধিপত্য ধরে রাখতে বেছে নিয়েছে ভিন্ন পথ। সম্প্রতি কাস্টম প্রশাসনের চাপের মুখে রয়েছে চাঁদাবাজচক্র। নৌপরিবহন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. সাখাওয়াত হোসেনের ভোমরা বন্দর পরিদর্শনের পর পরিবর্তন হতে থাকে দৃশ্যপট।