চট্টগ্রাম ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমছে, নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির আশায়

প্রকাশকালঃ ০৯ আগu ২০২৩ ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ ৩১৫ বার পঠিত
চট্টগ্রাম ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমছে, নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির আশায়

ট্টগ্রাম বিভাগে ভারি ও অতি ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে শুরু করেছে গতকাল মঙ্গলবার থেকে। নদীর পানি কমায় ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও বান্দরবানের নিম্নাঞ্চলের পানিও কমতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, অতি ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসায় আজ বুধবার ওই চার জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হতে পারে।

পাউবো জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য অববাহিকা ও তত্সংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে।

তবে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসায় এ সময় এই অঞ্চলের মুহুরী, ফেনী, হালদা, কর্ণফুলী, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি ধীরগতিতে কমতে পারে। ফলে আজ ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।


পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বৃষ্টিপাতের তীব্রতা কমে আসায় পানি নামতে শুরু করেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এসব অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

বৃষ্টিপাত কম থাকলে আমরা আশা করছি, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’


পাউবোর তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বিকেল ৩টায় সাঙ্গু নদীর পানি বান্দরবান স্টেশনে ৩৬৩ সেন্টিমিটার ও চট্টগ্রামের দোহাজারী স্টেশনে ৫৪ (২৩) সেন্টিমিটার এবং মাতামুহুরী নদীর পানি বান্দরবানের লামা স্টেশনে বিপত্সীমার ১৯৯ (২৬৮) সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

এদিকে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের ঝুঁকি সম্পর্কে কিছুদিন ধরেই সতর্কবার্তা দিয়ে আসছিল আবহাওয়া অফিস। তবে গতকাল এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সিলেটও।


আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘চলতি বছর আগস্টের প্রথম সপ্তাহে চট্টগ্রাম ও উপকূলীয় অঞ্চলে গত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি বৃষ্টি হয়েছে। তবে আগামীকাল (আজ) সারা দেশে বৃষ্টি থাকলেও এর তীব্রতা কমে আসবে। ভারি বা অতি ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবণতাও কমবে আজ থেকে।’ 

আগের দিনের তুলনায় গতকাল চট্টগ্রাম ও উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি কমেছে অনেকটাই। পার্বত্য জেলা বান্দরবানে আগের দিন ৩৪২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।

এ ছাড়া পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ১০৪, রাঙামাটিতে ১০৩, কক্সবাজারে ৯৮ ও চট্টগ্রামে ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় এদিন। ঢাকায় এ সময় ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। আজ থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে