২০২৪–২৫ অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ৮.৮৪% বৃদ্ধি

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১৩ জুলাই ২০২৫ ১২:২০ অপরাহ্ণ   |   ৩১ বার পঠিত
২০২৪–২৫ অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ৮.৮৪% বৃদ্ধি

ঢাকা, ১২ জুলাই ২০২৫ (ঢাকা প্রেস): বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতা সত্ত্বেও গত অর্থবছরে (২০২৪–২৫) বাংলাদেশের তৈরি পসাক (আরএমজি) রপ্তানি খাতে ৮.৮৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ সময়ে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩৯.৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
 

বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) দেশভিত্তিক হিসাব অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় বাজার। এ অঞ্চলে রপ্তানি আয় হয়েছে ১৯.৭১ বিলিয়ন ডলার, যা মোট আরএমজি রপ্তানির ৫০.১০ শতাংশ দখল করে রেখেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ৭.৫৪ বিলিয়ন ডলার (১৯.১৮%), কানাডায় ১.৩০ বিলিয়ন ডলার (৩.৩১%) এবং যুক্তরাজ্যে ৪.৩৫ বিলিয়ন ডলার (১১.০৫%)।
 

অঞ্চনভিত্তিক প্রবৃদ্ধি:

  • ইউরোপীয় ইউনিয়ন: ৯.১০%

  • যুক্তরাষ্ট্র: ১৩.৭৯%

  • কানাডা: ১২.০৭%

  • যুক্তরাজ্য: ৩.৬৮%

ইইউ-এর মধ্যে জার্মানি প্রধান গন্তব্য (৪.৯৫ বিলিয়ন ডলার), এরপর স্পেন (৩.৪০), ফ্রান্স (২.১৬), নেদারল্যান্ডস (২.০৯), পোল্যান্ড (১.৭০), ইতালি (১.৫৪) ও ডেনমার্ক (১.০৪) বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয়েছে। নেদারল্যান্ডসে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ২১.২১%, সুইডেনে ১৬.৪১%, পোল্যান্ডে ৯.৭৭% এবং জার্মানিতে ৯.৪৭%।
 

নন-ট্র্যাডিশনাল বাজার
নতুন বাজারে রপ্তানি আয় বেড়ে ৬.৪৪ বিলিয়ন ডলার (৫.৬১%), যা মোট রপ্তানির ১৬.৩৬% অংশ। এই ক্ষেত্রে তুরস্কে ২৫.৬২%, ভারতে ১৭.৩৯% এবং জাপানে ৯.১৩% প্রবৃদ্ধি হলেও রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়ায় রপ্তানি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।

 

পণ্যমিশ্রণ ও সেক্টর

  • নিটওয়্যার: ৯.৭৩% বৃদ্ধি

  • ওভেন: ৭.৮২% বৃদ্ধি
     

শিল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, কোভিড-১৯ পরবর্তী বাজার দ্রুত পরিবর্তনশীল হওয়ায় নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে বাংলাদেশ। বর্তমানে মোট পোশাক রপ্তানির প্রায় ৮৪% এখনও ট্র্যাডিশনাল বাজার থেকে আসে, নন-ট্র্যাডিশনাল অংশীদারিত্ব মাত্র ১৬%–এ অবস্থান করছে।
 

আন্তর্জাতিক ট্রেড সেন্টারের (আইটিসি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বৈশ্বিক পোশাক বাজারের আকার ছিল প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে নন-ট্র্যাডিশনাল বাজারের শেয়ার ছিল ১৫০ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ সেই বাজারে ৬% অংশীদারিত্ব ধরে রেখেছে। উদাহরণস্বরূপ, জাপানের মোট আমদানি থেকে ৫.৫০% এবং অস্ট্রেলিয়ার ১১.৫৩% এসেছে বাংলাদেশ থেকে, যা ভবিষ্যতের জন্য আশাব্যঞ্জক।
 

মতামত....
বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সাবেক বিজিএমইএ পরিচালক) মহিউদ্দিন রুবেল বলেন,

“পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে টিকে থাকতে নতুন বাজার ও পণ্যে মনোযোগী হতে হবে। শুধু দামে নয়, উদ্ভাবন ও ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি করে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এগিয়ে থাকতে হবে, যাতে ক্রেতারা বারবার বাংলাদেশকেই বেছে নেন।”

তিনি আরও যোগ করেন,

“নতুন বাজারে প্রবেশ কৌশলগত প্রয়োজনীয়তা; এর মাধ্যমে আমাদের রপ্তানি পোর্টফোলিও বৈচিত্র্য আনতে পারব এবং শিল্পের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারব।”

সূত্র: বাসস।