ঢাকা প্রেস নিউজ
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার চেম্বার আদালতের রায় বহাল রাখেন। ফলে হাইকোর্টের রায় বহাল রইলো।
হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে আপিল বিভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল করেছে। এর ফলে সরকারি চাকরিতে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) ৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল থাকবে। এই রায় নিয়ে সমাজের বিভিন্ন মতামত বিদ্যমান। কেউ কেউ মনে করেন কোটা পুরোপুরি বাতিল করা উচিত, আবার কেউ কেউ মনে করেন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কোটা থাকা উচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আগামী ৩০ জুনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুরোপুরি বাতিল না করা হলে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।
গত ৫ জুন হাইকোর্ট প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্যান্য কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণা করে। এরপর সরকার রায় স্থগিত চেয়ে আপিল করে। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) আপিল বিভাগ চেম্বার আদালতের রায় বহাল রেখেছে। ২০১৮ সালে সরকার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করে। এর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা রিট করে। হাইকোর্ট রিটের পক্ষে রায় দেয় এবং সরকারি চাকরিতে ৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখে।
হাইকোর্টের রায়ের প্রশংসা করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার। অন্যদিকে, কোটা পুরোপুরি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন কোটা বিরোধীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আগামী ৩০ জুনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুরোপুরি বাতিল না করা হলে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। সরকার এখনো এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।