|
প্রিন্টের সময়কালঃ ২০ এপ্রিল ২০২৫ ০১:৫১ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ

ভারত-ভুটান রেলসংযোগ বাস্তবায়নের পথে


ভারত-ভুটান রেলসংযোগ বাস্তবায়নের পথে


ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের রেল কাঠামোকে সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণের লক্ষ্য নিয়ে ১২০ কোটি রুপির বরাদ্দ করেছে ভারত সরকার। এটি ভুটান-ভারতের মধ্যে প্রথম রেলসংযোগ হতে চলেছে।

৫৭.৫ কিলোমিটারের এ রেলসংযোগ ভারতের আসামের কোকরাঝারকে ভুটানের সারপাংয়ের গেলফুর সঙ্গে সংযুক্ত করবে। ভারত সরকারের সম্পূর্ণ অর্থায়নে ১০০ কোটি রুপি ব্যয়ে এটি নির্মিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে এ প্রকল্পটি ২০২৬ সালের মধ্যে শেষ হবে।


মাত্র এক মাস আগে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এই রেলসংযোগ নিয়ে ভারত-ভুটানের মধ্যে চলমান আলোচনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বাণিজ্য ও পর্যটন উভয় ক্ষেত্রেই এ রেলসংযোগ আসাম ও ভুটানের জন্য সুনাম বয়ে আনবে।

এ রেলপথ দুইদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির জন্য পণ্য রপ্তানি সহজতর করবে এবং দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করবে। ২০০৮ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তার ভুটান সফরের সময় নেহেরু সুবর্ণ জয়ন্তী রেল সংযোগের ঘোষণা দিয়েছিলেন। 

এ উদ্যোগ ১৯৫৮ সালে পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর ভুটান সফরের ৫০তম বার্ষিকীকে স্মরণে রাখতে গ্রহণ করা হয়। পরবর্তীকালে, ২০১৮ সালে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ভারত সফরের সময় ভারত-ভুটান রেলওয়ের এ পরিকল্পনা গতি লাভ করে। 


প্রাথমিকভাবে, ভুটানের ফুয়েনশোলিংয়ের তোরিবাড়িকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাশিমারার সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য একটি ১৮ কিলোমিটারের রেলপথের প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এ প্রকল্প বিলম্বের সম্মুখীন হয়। 

২০০৫ সালে দুইদেশের সীমান্তবর্তী শহরগুলোকে একত্রিত করার লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছিল ভারত ও ভুটান। যদি এ রেলসংযোগটি বাস্তবায়ন হয়, তবে সূচনা হবে এক নতুন যুগের।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫