প্রকাশকালঃ
০২ অক্টোবর ২০২৪ ০৪:৩৩ অপরাহ্ণ ২৫৮ বার পঠিত
বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। আজ (২ অক্টোবর) এই উৎসবের পুণ্যলগ্ন শুভ মহালয়া। এই মহালয়া থেকে দেবীপক্ষের শুরু হয়। দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। যা শুরু হয় শ্রীশ্রী চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে। আর শারদীয় এই দুর্গোৎসবের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হচ্ছে মহালয়া।
পুরাণমতে, মহালয়ার দিন আবির্ভাব হয় দেবী দুর্গার। ফলে এদিন থেকেই দুর্গাপূজার দিন গণনা শুরু হয়ে থাকে। মহালয়া হচ্ছে ছয় দিনের অপেক্ষা। তারপরই কাঙ্ক্ষিত দিনে দেবীর চক্ষুদান করা হয়। তবে মহালয়ার দিন থেকেই উৎসবটির আনন্দধ্বনি শুরু হয়। আগামী ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে এই উৎসবের সমাপ্তি হবে।
মহালয়ার দিনটি সারাদেশে ব্যাপক আয়োজনে শুরু হয়। এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দিরে এদিন সকাল সাড়ে ৬টা থেকে শুরু হয়েছে শ্রীশ্রী চণ্ডীপাঠসহ নানা আয়োজন। বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাসমতে, দেবী দুর্গা হচ্ছে সব ধরনের অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক। যিনি অসীম শক্তির উৎস। পুরাণমতে, মহালয়ার দিনে মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান দেবী দুর্গা। শিবের বর মোতাবেক কোনো মানুষ বা দেবতা কখনো মহিষাসুরকে কখনো হত্যা করতে পারবে না।
ক্ষমতাশালী মহিষাসুর স্বর্গ থেকে দেবতাদের বিতাড়িত করেন এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বর হতে চান। ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব সম্মিলিতভাবে ‘মহামায়া’ রূপে অমোঘ নারীশক্তি সৃষ্টি করেন এবং দেবতাদের ১০টি অস্ত্রে সুসজ্জিত সিংহ বাহিনী দেবী দুর্গা ৯ দিনব্যাপী যুদ্ধ করে মহিষাসুরকে পরাজিত ও হত্যা করেন।