রাশিয়া ও ইউক্রেন দ্বন্দ্ব নিরসনে বিকল্প উপায়

প্রকাশকালঃ ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:১৪ অপরাহ্ণ ১৮৭ বার পঠিত
রাশিয়া ও ইউক্রেন দ্বন্দ্ব নিরসনে বিকল্প উপায়

নিবার দেশটির প্রতিরক্ষা প্রধান বলেছেন, মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে লড়াইয়ের তিন বছর হতে চললো। এমতাবস্থায় চলমান সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের পথ বের করা গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই প্রচেষ্টাগুলো অবশ্যই ইউক্রেনের জন্য অব্যাহত সামরিক সমর্থনকে মাথায় রেখেই করতে হবে।

মন্ত্রী আরও বলেছেন, পশ্চিমারা ইউক্রেনের ‘সংরক্ষণ’ নিশ্চিত করতে সফল  হলেও অন্যান্য লক্ষ্যগুলো অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। সামরিকভাবে যা অর্জন করা যায় না শান্তি আলোচনার মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা যায়। এর জন্য দরকার কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক পথের দিকে হাঁটা।

ক্রসেতো জোর দিয়ে বলেছেন, যুদ্ধের আগে যেমন ছিল তেমন পরিস্থিতিতে ফিরে যেতে হবে। অস্ত্র দিয়ে যা করা যায় না তা অন্য উপায়ে করা উচিত।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটো সদস্য দেশগুলো কিয়েভের প্রধান সমর্থক। তারা ইউক্রেনের জন্য তাদের সমর্থন যতদিন লাগে ততদিন দিয়ে যাবে বলে জোর দিয়ে বলেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্লকের সামরিক মানদণ্ডের কাছাকাছি নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা। রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করার প্রচেষ্টা ছিল সংঘাতের মূল কারণগুলোর একটি। কারণ ঐতিহাসিকভাবে দেশটি তার সীমান্তে ন্যাটোর সম্প্রসারণকে হুমকি হিসেবে দেখে।

ইতালীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইতিমধ্যে অক্টোবরের শুরুতে সতর্ক করেছিলেন, মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে শত্রুতার সমাধান যুদ্ধক্ষেত্রে হবে এমন কোনো সম্ভাবনা নেই। তখন তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন যে যত বেশি সময় গড়াবে, ইউক্রেনকে সাহায্য করার সম্ভাবনা তত বেশি হ্রাস পাবে। রুশ সৈন্যদের পিছনে ঠেলে দেওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টায় কিয়েভ যে গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল তার দিকে ইঙ্গিত করে এমনটা বলেছিলেন তিনি।

কিয়েভ গ্রীষ্মের শুরুতে একটি বহুল প্রচারিত পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছিল। কিন্তু জনশক্তি ও পশ্চিমা সরবরাহকৃত সরঞ্জাম উভয় ক্ষেত্রেই ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় স্থল পথে উল্লেখযোগ্য কোনো অর্জন দেশটি করতে পারেনি। মস্কোর অুনমান অনুসারে, আক্রমণ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার সৈন্য হতাহত হয়েছে।

ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে যোগদানের পক্ষে ভোট দেওয়ার পরে গত শরতে রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির জেলেনস্কি মস্কোতে বর্তমান নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা নিষিদ্ধ করে একটি ডিক্রি স্বাক্ষর করেন। পরে কিয়েভের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত বলে মস্কো বারবার জানিয়েছে।