|
প্রিন্টের সময়কালঃ ০৫ জুন ২০২৫ ০২:২৪ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ০৫:৩৬ অপরাহ্ণ

ইরাক থেকে সমস্ত কূটনীতিকদের দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের


ইরাক থেকে সমস্ত কূটনীতিকদের দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের


মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার ইরাক থেকে সমস্ত কূটনীতিকদের দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কেবল আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার সঙ্গে যারা যুক্ত, তারা ইরাকে থাকবেন বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও একটি নির্দেশিকা জারি করেছে দেশের নাগরিকদের জন্য। তাতে বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে কোনো নাগরিক যেন ইরাকসহ মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোতে যাওয়ার চেষ্টা না করেন।


ইরাকে ইতোমধ্যেই মার্কিন প্রতিনিধিদের ওপর আক্রমণ হয়েছে বলে ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। সে কারণেই সেখান থেকে কূটনীতিক এবং কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, গোটা মধ্যপ্রাচ্য ঘিরেই মার্কিন নাগরিকদের ওপর হামলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইরাকে একাধিক গোষ্ঠী মার্কিন নাগরিকদের ওপর আক্রমণের চেষ্টা চালিয়েছে বলে দাবি।

ইরান নিয়েও সতর্কতা

পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন সম্প্রতি জানিয়েছেন, ইসরায়েল-গাজা সংঘাতকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে ইরান। লেবাননে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীকে ইরান সমর্থন করে বলে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি। সেই হিজবুল্লাহ হামাসের সমর্থনে লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে তারাও সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। 

ইরানের মদদেই এই ঘটনা ঘটছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদেরও ইরান মদদ দেয় বলে অভিযোগ। সম্প্রতি তারাও মার্কিন যুদ্ধ জাহাজে একাধিক মিসাইল হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও প্রতিটি মিসাইলই যুক্তরাষ্ট্র ধ্বংস করেছে।


রোববার ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘ইরান সমর্থিত বিভিন্ন গোষ্ঠী মার্কিন প্রতিনিধিদের ওপর আক্রমণের চেষ্টা চালাতে শুরু করেছে। তাদের চেষ্টা যাতে বিফল হয়, তার সমস্ত ব্যবস্থা আমরা করছি।’ বস্তুত, ব্লিঙ্কেন ‘ইরানের প্রক্সি'’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন তার বক্তব্যে। তিনি জানিয়েছেন, মার্কিন নাগরিকদের রক্ষা করার সমস্ত দায়িত্ব সরকার পালন করবে এবং সে কারণেই ওই গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে আগেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরু হওয়ার পরেই ওই অঞ্চলে বিরাট সেনা মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দুইটি বিমানবহনকারী যুদ্ধ জাহাজ ওই অঞ্চলের সমুদ্রে পাঠানো হয়েছে। পেন্টাগন জানিয়েছে, ওই এলাকায় প্রায় দুই হাজার মেরিন ফোর্সও মজুত করা হয়েছে। ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুক্ত হয়নি। কিন্তু ওই অঞ্চলে সেনা পাঠিয়ে তারা সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। তথ্য সূত্র: ডয়চে ভেলে


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫