|
প্রিন্টের সময়কালঃ ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ০৬:২৮ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ০৬:৪২ অপরাহ্ণ

চুয়াডাঙ্গায় কিশোরী কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতার মৃত্যুদণ্ড


চুয়াডাঙ্গায় কিশোরী কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতার মৃত্যুদণ্ড


চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:-


চুয়াডাঙ্গা, ১৬ এপ্রিল ২০২৫: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় আপন ১৫ বছর বয়সী কিশোরী কন্যাকে ধর্ষণের দায়ে তার পিতা আলতাপ হোসেন (৪৬)-কে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছে আদালত। একইসঙ্গে আদালত তাকে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে।

 

আজ বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আলতাপ হোসেনের স্থায়ী ঠিকানা সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার বুড়ি গোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালী গ্রাম। তবে, বিবাহের পর ২০০৮ সাল থেকে তিনি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা হুদাপাড়া গ্রামে বসবাস করছিলেন।
 

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (স্পেশাল পিপি) এম এম শাহজাহান মুকুল রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, কিশোরী ধর্ষণ মামলায় পিতা আলতাপ হোসেনকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং দুই লক্ষ টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই রায়ের মাধ্যমে সমাজে এ ধরনের জঘন্য অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব হবে।
 

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরীর মাতা ২০২৪ সালের ৭ মার্চ আলমডাঙ্গা থানায় তার স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
 

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়ার পর ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে ওই কিশোরীর বিবাহ হয়। বিবাহের কয়েক দিন পর স্বামীর বাড়িতে তার পেটে ব্যথা ও বমি বমি ভাব দেখা দিলে তার স্বামী ঔষধ এনে খাওয়ান, কিন্তু তাতে কোনো উন্নতি হয়নি। পরবর্তীতে পরীক্ষা করে জানা যায় যে সে ২-৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরী তার মাকে জানায় যে ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর সে বাবার বাড়িতে বেড়াতে গেলে তার বাবা তাকে ধর্ষণ করেন।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫