বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত ‘মিয়া ভাই’ ফারুক

প্রকাশকালঃ ১৭ মে ২০২৩ ০৫:১৫ অপরাহ্ণ ৩৫৫ বার পঠিত
বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত ‘মিয়া ভাই’ ফারুক

পারিবারিক কবরস্থানে বাবা আজগার হোসেন পাঠানের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন কিংবদন্তি অভিনেতা, মুক্তিযোদ্ধা ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। 

বাবার পাশেই সমাহিত হওয়ার ইচ্ছা ছিল এই বরেণ্য অভিনেতার। তাঁর শেষ ইচ্ছাকেই প্রাধান্য দিয়ে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে অভিনেতাকে। 


মঙ্গলবার (১৬ মে) রাত ১০টায় গাজীপুরের কালীগঞ্জের তুমুলিয়া ইউনিয়নে সোমটিওরি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে তাঁর পঞ্চম জানাজা শেষে দক্ষিণ-সোম গ্রাম পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে সেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা-অভিনেতা ফারুককে। কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।

গ্রামের বাড়িতে প্রতিকূল আবহাওয়ায় দাফনকার্য থেমে থাকে। আবহাওয়া অনুকূল হলে রাত ১০টায় তাঁকে চিরনিদ্রায় সমাহিত করা হয়। ফারুকের প্রথম জানাজা হয় সিঙ্গাপুরে, দ্বিতীয় এফডিসি, তৃতীয় চ্যানেল আই প্রাঙ্গণ, চতুর্থ রাজধানীর গুলশানের আজাদ মসজিদ, পঞ্চম জানাজা তার নিজ গ্রাম তুমুলিয়া ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। এরপরে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

ফারুক অভিনীত সিনেমায় অধিকাংশ চরিত্রই ছিল এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের প্রতিনিধি তথা গ্রামীণ যুবকের চরিত্র। ফলে সদ্য স্বাধীন দেশে গড়ে ওঠা নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণি, যারা মূলত গ্রাম থেকে এসেছিল, তারা ফারুক অভিনীত চরিত্রের মধ্যে নিজেদের খুঁজে পেয়েছেন। এসবের কারণেই সবার কাছে ‘মিয়া ভাই’ হয়ে ওঠেন এই নায়ক।


ফারুকের মরদেহ মঙ্গলবার সকালে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আসে। বিমানবন্দর থেকে প্রথমে নেওয়া হয় নায়কের রাজধানীর উত্তরার বাসায়। সেখানে কিছুক্ষণ রেখে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় শহীদ মিনারে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এফডিসিতে দ্বিতীয় দফায় জানাজা হয়। এফডিসি থেকে ফারুকের মরদেহ নেওয়া হয় চ্যানেল আই ভবনে। সেখানে আরেক দফা জানাজা শেষে কিংবদন্তি অভিনেতার মরদেহ নেওয়া হয় গুলশান আজাদ মসজিদে। সেখানে বাদ আসর আরেক দফা নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপরে গাজীপুরের কালীগঞ্জে রওনা হয় তাঁকে বহনকারী অ্যাম্বু্ল্যান্স।

ফারুক অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে আছে 'সারেং বৌ', 'লাঠিয়াল', 'সুজন সখী', 'নয়নমণি', 'মিয়া ভাই', 'গোলাপী এখন ট্রেনে', 'সাহেব', 'আবার তোরা মানুষ হ', 'আলোর মিছিল', 'দিন যায় কথা থাকে', 'সখি তুমি কার', 'কথা দিলাম' ও 'সূর্য গ্রহণ' ইত্যাদি।