অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দেইর আল-বালাহ এবং নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী ভয়াবহ গণহত্যা চালানোর পর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ঢাকার আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
শনিবার ইসরাইলি সেনারা কয়েকজন বন্দীকে উদ্ধারের জন্য ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালায় এবং অন্তত ২১০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে। এরপরই মাহমুদ আব্বাস জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডাকার আহ্বান জানান।এজন্য তিনি জাতিসঙ্গে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। নুসেইরাত শিবিরে ইসরাইলি বাহিনী যে গণহত্যা ও রক্তপাত ঘটিয়েছে তার পরিণতি সম্পর্কে নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন বলে মাহমুদ আব্বাস উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট আরব দেশগুলো এবং আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোর সাথে নিবিড়ভাবে যোগাযোগ রাখছেন। গাজার চলমান পরিস্থিতি এবং ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ঠেকানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি হস্তক্ষেপের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
মাহমুদ আব্বাস বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিরবতা ও মার্কিন সমর্থনকে পুঁজি করে ইসরাইল অব্যাহতভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে এবং গাজায় অপরাধযজ্ঞ চালাচ্ছে।গত ৭ অক্টোবর হামলা চালিয়ে নোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যাল থেকে আড়াই শতাধিক ইসরাইলিকে জিম্মি করে হামাস। সম্প্রতি মধ্য গাজায় অভিযান চালিয়ে তাদের মধ্য থেকে চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
শনিবার রাফাহসহ মধ্য ও উত্তর গাজার বেশ কয়েকটি স্থানে আকাশ, স্থল ও নৌপথে চালানো ওই যৌথ অভিযানে ২১০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এতে আহত হয়েছেন আরও অনেকে।