দাওমাতুল-জান্দাল : জাহিলিয়াতের যুগে দাওমাতুল-জান্দাল ছিল আরবের বিখ্যাত একটি বাজার। মেসোপটেমিয়া ও সিরিয়ার বাণিজ্যিক রুটে ছিল এই বাজারের অবস্থান, তাই এর সুখ্যাতি ছিল আরবজুড়ে। রবিউল আউয়াল মাসের প্রথম দিন থেকে মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ব্যাপক লোক সমাগম হতো এখানে। কিন্তু মাসের শেষের দিকে ক্রমে মানুষের অংশগ্রহণ কমে যেত। পরের বছর একই মাসে এই বাজার বসত। জাদিলাহ এবং কালব গোত্রগুলো এই বাজারের কাছাকাছি বসবাস করত।
আল-মুশাক্কার : বর্তমান বাহরাইনের ‘হাজার’ নামক স্থানের পাশে মুশাক্কার নামক একটি বাজার ছিল। আরবি জমাদিউস সানি মাসের প্রথম দিনে এই বাজার বসত এবং মাসের শেষ অবধি চলত। পারস্যের মানুষ পারস্য উপসাগর পাড়ি দিয়ে এই বাজারে আসত। তারা প্রচুর পরিমাণে পণ্য নিয়ে আসত এবং এখানে বিক্রি করত। এই বাজারের পাশে বসবাস করত আব্দুল কাসি ও তামিম গোত্র।
সুহার : আরবি রজব মাসের প্রথম দিন বর্তমানের ওমান অঞ্চলে এই বাজার বসত। বাজারের স্থায়িত্ব ছিল মাসের প্রথম পাঁচ দিন পর্যন্ত।
দিবা : রজব মাসের শেষ দিনে এই বাজার বসত। সিন্ধু, ভারত ও চীনের বণিকরা এখানে উপস্থিত হতো।
শিহর মাহরা : বর্তমান ইয়েমেনের উত্তরে হুদ (আ.)-এর কবরখ্যাত পাহাড়ের পাশে এই বাজার বসত। বনু মুহারিব এই বাজারের কাছে বসবাস করত।
সুক এদেন : রমজান মাসের প্রথম দশ দিন এই বাজার বসত। বর্তমান ইয়েমেনের দক্ষিণে ছিল এই বাজারের অবস্থান।
সুক সানা : রমজান মাসের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত এই বাজার বসত।
আল রাবিয়া : হাজারামাওত অঞ্চলে কিনদাহ গোত্রে ছিল এই বাজারের অবস্থান। উকাজ বাজারের মতো এই বাজারও আরবি জিলকদ মাসের মাঝামাঝিতে বসত, যা মাস শেষ অবধি চলত।
উকাজ : এটি হলো আরবের বিখ্যাত বাজারের মধ্যে একটি। আরাফাতের পাশে ছিল এর অবস্থান। কুরাইশ, গাতাফান, হাওয়াজিন, আসলাম, আল-আহবিস গোত্রগুলো এখানে অংশগ্রহণ করত। জিলকদ মাসের মাঝামাঝিতে শুরু হয়ে শেষ পর্যন্ত এই বাজার চলত।
জুল-মাজাজ : উকাজ বাজারের পাশে জিলহজ মাসের প্রথম দিন এই বাজার বসত। জিলহজ মাসের অষ্টম দিনে বাজার উঠে যেত এবং উত্তর দিকে মিনায় গিয়ে আবার এই বাজার বসত। তখন এই বাজারের নাম হতো সুক মিজান্নাহ।
আন-নাতাত : খাইবারে আশুরার দিন হতে মহররম মাসের শেষ পর্যন্ত এই বাজার চলত।
আল-হিজর : ইয়ামামাহ অঞ্চলে ছিল এই বাজারের অবস্থান। আন-নাতাহর মতো এই বাজারও আশুরা থেকে মহররম মাসের শেষ পর্যন্ত চলত।