খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের জের ধরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর), খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন চন্দ্র রায় এই আদেশ জারি করেন। নোটিশে বলা হয়েছে, পাহাড়ি ও বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবং আরও বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত:
এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বুধবার ভোরে খাগড়াছড়ি সদরে মো. মামুন নামে এক যুবককে চুরির অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা করা হলে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার বিকেলে দীঘিনালায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে এবং বাজারে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরে রাতে জেলা সদরের স্বনির্ভর ও নারানখাইয়া এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে, যাতে তিনজন নিহত এবং আরও কয়েকজন আহত হয়।
প্রশাসনের পদক্ষেপ:
১৪৪ ধারা জারি: আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন: জেলা প্রশাসক, সেনা কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপার দীঘিনালার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন।
তদন্ত কমিটি গঠন: ঘটনার কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং দোষীদের বিচারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এই সংঘর্ষের ফলে অর্ধশতাধিক দোকানপাট পুড়ে গেছে এবং অনেক মানুষের জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। তারা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এই ধরনের সহিংসতা সমাজের জন্য ক্ষতিকর এবং এটি উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করে। প্রশাসনকে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি, স্থানীয় নেতৃবৃন্দকেও জনগণকে শান্ত রাখতে এবং সমস্যার সমাধানে সহযোগিতা করতে হবে।