|
প্রিন্টের সময়কালঃ ১৯ অক্টোবর ২০২৫ ০৮:৫৬ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ১৯ অক্টোবর ২০২৫ ০৪:১১ অপরাহ্ণ

সারাদেশে পুলিশের সব ইউনিটকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ


সারাদেশে পুলিশের সব ইউনিটকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ


সাম্প্রতিক সময়ে দেশে বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এসব পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বা কেপিআই (কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন) লক্ষ্য করে হামলার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তাই পুলিশের সব ইউনিটকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় টহল ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
 

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগুন লাগার পর, শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে পুলিশ সদর দপ্তর সারাদেশের কেপিআই স্থাপনায় বাড়তি নিরাপত্তা ও টহলের নির্দেশ দিয়েছে। মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তারা সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার মৌখিক নির্দেশনা পেয়েছেন। চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, “নির্দেশনার পর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আটক করা হচ্ছে।”
 

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, শাহজালাল বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডের পর কেপিআই এলাকায় অতিরিক্ত টহল ও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারাও তাদের দায়িত্বাধীন স্থাপনাগুলো সুরক্ষিত রাখার নির্দেশ পেয়েছেন।
 

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেন, “দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সারা বছরই নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ থাকে। কেপিআই এলাকায় পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করছে।”
 

বর্তমানে সারাদেশে ৫৮৭টি কেপিআই রয়েছে, যার মধ্যে বঙ্গভবন, গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জাতীয় সংসদ, বিমানবন্দর, সচিবালয়, বিটিভি, কারাগার ও বিদ্যুৎকেন্দ্র অন্তর্ভুক্ত। এগুলোর নিরাপত্তা কার্যক্রম তত্ত্বাবধানে সরকারের একটি শক্তিশালী নীতিমালা কমিটি কাজ করছে।
 

অন্তর্বর্তী সরকার শনিবার রাতে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডে জনমনে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, তা গভীরভাবে স্বীকার করছে। সরকার সব নাগরিককে আশ্বস্ত করেছে—নিরাপত্তা সংস্থাগুলো প্রতিটি ঘটনা তদন্ত করছে এবং মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে।
 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যদি নাশকতা বা অগ্নিসংযোগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়, সরকার তাৎক্ষণিক ও দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে। কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বা উসকানির মাধ্যমে জনজীবন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করা যাবে না। এছাড়া বলা হয়েছে, “যদি এসব অগ্নিকাণ্ড নাশকতা হিসেবে প্রমাণিত হয় এবং জনমনে আতঙ্ক বা বিভাজন সৃষ্টি করতে চায়, তবে তা সফল হবে কেবল তখনই, যখন আমরা ভয়কে আমাদের বিবেচনা ও দৃঢ়তার ওপরে প্রাধান্য দিতে দেব।”
 

অন্তর্বর্তী সরকার আরও উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশ অতীতেও বহু কঠিন সময় অতিক্রম করেছে। আমরা ঐক্য, সংযম ও দৃঢ় সংকল্প নিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের উত্তরণের পথে যেকোনো হুমকির মোকাবিলা করব। ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫