ঢাকা প্রেস
স্টাফ রিপোর্টার (কুমিল্লা):-
কুমিল্লায় বন্যার তীব্রতা কমে আসায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা হলেও কমেছে। গোমতি, ডাকাতিয়া ঘুংঘুরসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের দিকে ফিরছে। এর ফলে জেলার ১৪টি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে। অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন।
তবে বন্যার কারণে হাজার হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে অনেকে এখনও বাড়িঘরহীন। ধ্বংসস্তূপে পরিণত বাড়িঘর দেখে অনেকেই মন খারাপ করে আছেন।
গোমতী নদীর বুরবুড়িয়ায় বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে এখনও পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে, তবে প্রবাহের মাত্রা কমে আসছে। এর ফলে বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় প্রায় ১০ লাখ মানুষ এখনও বন্যার কবলে রয়েছেন। ৭৮ হাজারেরও বেশি মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সংস্থা দুর্গতদের ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে।
যদিও বন্যার তীব্রতা কমেছে, তবুও কুমিল্লার মানুষের সামনে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পুনর্নির্মাণ, জীবনযাত্রা পুনরুদ্ধার, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা— এসব কাজে দীর্ঘ সময় ও ব্যাপক প্রচেষ্টা দরকার হবে।
এই সমস্যা মোকাবেলায় সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং সাধারণ মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অত্যন্ত জরুরি।
মনে রাখতে হবে, বন্যা শুধু কুমিল্লার নয়, বাংলাদেশের একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন, নদী ভাঙন, বাঁধ ভাঙনসহ বিভিন্ন কারণের ওপর গবেষণা করে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি।
আশা করা যায়, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কুমিল্লার মানুষ খুব শীঘ্রই এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।