|
প্রিন্টের সময়কালঃ ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৫৯ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ০৯ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:৫০ পূর্বাহ্ণ

গাইবান্ধার সেই সবুজের বিরুদ্ধে এবার দুদকে অভিযোগ


গাইবান্ধার সেই সবুজের বিরুদ্ধে এবার দুদকে অভিযোগ


ঢাকা প্রেস
সিরাজুল ইসলাম রতন,স্টাফ রিপোর্টার গাইবান্ধা:-



গাইবান্ধার তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী সেই ল্যাব সহকারি মিজানুর রহমান সবুজের বিরুদ্ধে এবার দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দায়ের হয়েছে।


 


 

এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
 

এরআগে গত ৪ অক্টোবর মিজানুর রহমান সবুজের ডিভাইস সিন্ডিকেটের কারণে সরকারি চাকরির নিয়োগ পরিক্ষায় মেধাবীরা বঞ্চিত হওয়া এবং তার অবৈধ উপায়ে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা অর্জন, অঢেল সম্পত্তি, অননুমদিত বহুতল ভবন ও বিশাল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক বনে যাওয়ার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করেন থানা পাড়ার একেএম আরিফ আলাল নামের এক ব্যক্তি। 
 

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, মিজানুর রহমান সবুজ পলিটেকনিক্যালে ২০২১ সালে ল্যাব সহকারি (তৃতীয় শ্রেণি) হিসেবে সরকারি চাকুরীতে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি তৎবীর করে গাইবান্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে সংযুক্তিতে বদলি নিয়ে এসেছেন। মিজানুর রহমান চাকরির মাত্র তিন বছরে বিপুল পরিমাণ কালো টাকার মালিক বনে গাইবান্ধা শহরের থানা পাড়ায় প্রায় আড়াই কোটি টাকায় দশ (১০) শতাংশ জায়গা ক্রয় করে ৫ শতাংশের উপর অননুমদিত অত্যাধুনিক পাঁচ (৫) তলা ভবন নির্মাণ করেছেন। তার গ্রামের বাড়ি রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ডিব বাজারেও একতলা ভবন নির্মাণ রয়েছে। 
 

এছাড়া অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, সবুজ তার দ্বিতীয় স্ত্রী মোছা. তাসলিমা খাতুনের নামে গাইবান্ধা শহরের ফিরোজা মার্চেন্ট প্লাজায় "বেস্ট কম্পিউটার" নামে সম্প্রতি ২৫ লাখ টাকায় চারটি দোকান ও একটি গোডাউন বরাদ্দ নিয়ে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা শুরু করেছেন। এছাড়াও সাড়ে তিন লাখ টাকার মোটারসাইকেলে ঘোড়েন মিজানুর রহমান সবুজ। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মার্কেট করেন বিদেশে। মাত্র চার বছরের চাকরি জীবনে কিভাবে এতো বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদ অর্জন করলেন তা নিয়ে হতভম্ব স্থানীয় মানুষ। এছাড়া চার চাকার গাড়ি এবং তার স্বজনদের নামেও বিপুল পরিমাণ সম্পদ করেছে মর্মে গুঞ্জন রয়েছে।
মিজানুর রহমান সবুজ সরকারি চাকরিসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরিক্ষায় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহারে পরিক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীন্যের মাধ্যমে এই অবৈধ অর্থ সম্পদ করেছেন মর্মে সবুজের স্বজন, প্রতিবেশী ও স্থানীয়রাসহ এলাকাবাসীরা সকলেই জানেন। যা সম্প্রতি একাধিক জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমেও ফলাও করে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।

 

অভিযোগে সর্বশেষ গত ৩০ অক্টোবর মিজানুর রহমান সবুজের থানা পাড়ার (পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর মৌজার, জেএল নং ৯৯) ৫ তলা ভবনের অনুমোদন বিহীন নক্সার বর্ধিতাংশ অপসারণে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে এই ডিভাইস সিন্ডিকেটের মূল হোতা মিজানুর রহমান সবুজ ও তার অবৈধ সম্পদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহ সরকারি চাকরিতে মেধাবীদের প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়তা করতে আহবান করা হয়েছে। একই সাথে প্রকাশ্যে গোপনে তদন্ত করাসহ মিজানুর রহমান সবুজ এবং তার দুই স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব তলব করলে উপরোক্ত সম্পদের বাহিরেও আরও বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদ ও লেনদেনের তথ্য মিলবে বলেও উল্লেখ করা হয়।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫